এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এগরোল বিক্রি করেই এত সম্পত্তি ? সুজিত বোসের গোপন তথ্য ফাঁস! সোচ্চার বিজেপি!

এগরোল বিক্রি করেই এত সম্পত্তি ? সুজিত বোসের গোপন তথ্য ফাঁস! সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অনেকেই বলেন, যারা আগে একটা বিড়ি তিনবার টেনে খেতেন, তৃণমূল আমলে তারা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছেন। আর অসৎ উপায় অবলম্বন না করলে যে এমনটা করা যায় না, সেটা নিয়ে দ্বিমত নেই কারও মধ্যেই। বিরোধীদের অভিযোগ, এইরকমই একজন যার বাড়িতে আজকে ইডি হানা দিয়েছে, সেই সুজিত বসু। তিনি একসময় নাকি ঠেলাগাড়ি করে এগরোল বিক্রি করতেন। কিন্তু এবার তার বাড়িতে পৌর নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে তার এই এগরোল বিক্রির কথা আমরা বলছি না। এই খবর দিয়ে সাত সকালে বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, পৌর নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের তদন্ত শুরু করেছে। তবে আজ সকালে হঠাৎ করেই রাজ্যের তিন হেভিওয়েটের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি আধিকারিকরা। যার মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। এখনও পর্যন্ত তার বাড়িতে লাগাতার তল্লাশি এবং জেরা চলছে বলে খবর। দিনের শেষে কি হবে, তা কেউ জানে না। আর এর মাঝেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দিলেন এক ভয়াবহ তথ্য। এদিন তিনি বলেন, “এত দেরি করে কেন রেড হচ্ছে, এটা বুঝতে পারছি না। আরও অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল। কারণ এই সুজিত বসু বিভিন্ন মিউনিসি প্যালিটিতে তার আত্মীয়দের চাকরি দিয়েছেন এবং দুর্নীতি হয়েছে, এটা তো স্পষ্ট। আমার কাছে এই ব্যাপারে খবর রয়েছে। আর আমি শুনেছি, উনি নাকি আগে এলাকায় ঠেলাগাড়ি করে এগরোল বিক্রি করতেন। ফলে এইরকম একটা মানুষ এত তাড়াতাড়ি এত কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কি করে বাড়িয়ে ফেললেন, সেটা নিয়েও তো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”

একাংশের মতে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি কোথা থেকে তথ্য পেয়েছেন, সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু এই তথ্য যদি সত্যি হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে, এই সরকারের আমলে কত গরীব বড়লোক হয়েছে। আর কিভাবে নিজেদের সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছে! ফলে এত তাড়াতাড়ি প্রচুর সম্পত্তির অধিকারী হয়ে যাওয়া মানুষদের ব্যাকগ্রাউন্ড যদি ঘেঁটে দেখা যায়, তাতে যদি এইরকম তথ্য উঠে আসে, তাহলে সেসব নিয়েও একটা বড়সড় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন একাংশ। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল সরকারের আমলে সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়। কোটি কোটি টাকা এবং সম্পত্তি তৈরি করেছেন রাঘব বোয়ালরা। তাই এইসব দুর্নীতির হিসেব তাদেরকে দিতেই হবে। চুরি করে কেউ বাইরে থাকবে না। চোরেদের জেল যাত্রা দেখতে চায় বাংলার সাধারণ মানুষ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে, তাতে এবার আসল মাথাদের ভেতরে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অনুব্রত মণ্ডলের মত নেতা এখন জেলে রয়েছে। তার ব্যাকগ্রাউন্ড ঘাটলেও শোনা যায়, তিনি নাকি একসময় হাটে মাছ বিক্রি করতেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতিও এই কথা একাধিকবার তার মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বলেছেন। আর এবার এগরোল বিক্রির কথা বলে সুজিত বসুকে নিয়ে যে বোমাটা ফাটালেন সুকান্ত মজুমদার, তা রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এমনিতেই তো সাত সকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ায় তিনি হতচকিত হয়ে পড়েছেন। প্রচন্ড চাপে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল। কখন কি হয়, কেউ বুঝতে পারে না। আর তার মাঝেই সুজিতবাবুর অতীত দিনের কথা ফাঁস হয়ে গেল। আর যদি এই কথা সত্যি হয়, তাহলে তিনি চরম গাড্ডায় পড়তে পারেন। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!