এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এনডিএ-জেডিইউ জোটকে বড় ধাক্কা আরজেডির! জেনে নিন বিস্তারিত

এনডিএ-জেডিইউ জোটকে বড় ধাক্কা আরজেডির! জেনে নিন বিস্তারিত


মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার পাশাপাশি গত 21 অক্টোবর বিহারেও উপনির্বাচন হয়ে গেল। নীতিশ কুমারের রাজ্যে প্রথম থেকেই বিজেপি নিশ্চিত ছিল নির্বাচন জেতার ব্যাপারে। নির্বাচনের আগে অর্থাৎ লোকসভা ভোটের পরবর্তী সময় থেকে বিহার রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচন ঘিরে জোরদার প্রচার চালিয়েছিল বিজেপি-জেডিইউ জোট।

গত লোকসভা ভোটে বিজেপির হাতে সাফল্য এলেও উপনির্বাচনে বিজেপি ও জেডিইউ জোট ধরাশায়ী হলো বিহারে। মোদি ম্যাজিক কোনমতেই কাজ করলো না বিহারে।বিহারে আশানুরূপ ফল হল না বিজেপি ও জে ডি ইউ জোটের। রাজ্যের পাঁচটি উপনির্বাচন কেন্দ্রের চারটিতেই পরাজিত হন বিজেপি ও জে ডি ইউ জোটপ্রার্থীরা।

অন্যদিকে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব 2019 বিহারের বিধানসভা ভোটের আগেই উপনির্বাচনে দুটি আসনে জিতে নিতিশ কুমারকে নতুন বার্তা দিলেন। পাশাপাশি এই উপনির্বাচনে একটি নতুন দলের আবির্ভাব ঘটল বিহার বিধানসভায়। বিহারের কৃষানগঞ্জ আসনটিতে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করলো ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন বা আইএমআইএমের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

পাশাপাশি আরজেডি প্রার্থী জাফর আলম সিমরি বখতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জেডিইউ প্রার্থীকে প্রায় 15 হাজার 505 ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়লাভ করলেন। অন্যদিকে বেলহার বিধানসভা আসনে জেতেন আরজেডি প্রার্থী রামদেও যাদব। তিনি 19231 ভোটে যেতেন।

পাঁচটি উপ নির্বাচনী কেন্দ্রের চারটিতে প্রার্থী দেয় জেডিইউ। তার মধ্যে তিনটিতেই পরাজয় হয় তাঁদের। পাশাপাশি একটি আসনে বিজেপি প্রার্থী দিলেও সেখানেও তাঁদের ভাগ্যে পরাজয় আসে। এই উপনির্বাচনের সাফল্য নিয়ে লালুপ্রসাদের কনিষ্ঠপুত্র তেজস্বী প্রসাদ যাদব বলেন, আরজেডির এই জয়ের জন্য আমি প্রথমেই ভোটারদের ধন্যবাদ দিতে চাই। ভোটের আগে সর্বাগ্রে আমি সাধারন মানুষের সমস্যাগুলির উপরই জোর দেওয়ার কথা বলেছিলাম। মানুষ আমাদের কথা শোনায় স্বাভাবিকভাবেই আমরা খুশি।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উপনির্বাচনের জয়ের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিহার বিধানসভার আরেক বিরোধী দলনেতা জানান, ‘এই উপনির্বাচন থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় আসন্ন বিধানসভা ভোটে মানুষ গতানুগতিক ও প্রথাগত কোন জিনিস আর মানবেন না।’ পাশাপাশি আরজেডির পক্ষ থেকে লালুপুত্র এই জয়ের জন্য জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে সাধারণ মানুষের রায়কে জাতপাতের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে প্রগতিশীল হওয়ার প্রমাণ বলেও দাবি জানিয়েছেন।

বিহারের ভাগলপুরের নাথনগর বিধানসভা আসনটিতে একমাত্র জেতেন জেডিইউ প্রার্থী লক্ষীকান্ত মন্ডল। পাশাপাশি এলজেপি প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান এর ভাইপো প্রিন্স রাজ সমস্তিপুর সংসদীয় ক্ষেত্র থেকে জিতে মুখ রক্ষা করেন এনডিএ জেডিইউ জোটের। প্রিন্স তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী অশোক কুমারকে এক লক্ষের কাছাকাছি ভোটে হারান। অন্যদিকে, আরজেডি প্রার্থী রুবিয়া খান জেভিয়ের জেডিইউ-এর লক্ষীকান্ত মন্ডলের কাছে মাত্র 5131 ভোটে হেরে যান।

কৃষাণগঞ্জের মুসলিম এলাকায় কংগ্রেসের পরাজয় নিয়ে বলতে গিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক সদানন্দ সিং বলেন, ‘কৃষাণগঞ্জ উপনির্বাচনের আগে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দলের অন্দরেই আমাদের কিছু কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। যা এইবারের নির্বাচনে কিছুটা হলেও ছাপ ফেলতে পারে।’

বিহার উপনির্বাচন নিয়ে জেডিইউ-এর মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন প্রসাদ জানান, ‘আমরা পরবর্তীতে দলের অন্দরে এই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিশদ আলোচনা করব। পাশাপাশি আগামী বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এবারে পরাজয়ের সম্ভাব্য কারণগুলো খতিয়ে দেখে দলের আগামী কর্মসূচিগুলিও ঠিক করা হবে।’

একুশে অক্টোবর এর বিধানসভা উপনির্বাচনকে ঘিরে বিজেপি ও জেডিইউ জোটের আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। সেই আত্মবিশ্বাসে চির ধরিয়ে দিল এবারের ভোটের রেজাল্ট। সমগ্র বিষয়টি নজরে রেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভোটের রেজাল্ট এর উপর ভিত্তি করে বলা যায়, পরবর্তী নির্বাচন জিততে বিজেপি ও জেডিইউ জোটকে আরো বেশি করে তাঁদের সংগঠনের দিকে নজর দিতে হবে। অন্যদিকে, বিহার উপনির্বাচনে জয়ের ফলে আরজেডি শিবিরে খুশির জোয়ার অব্যাহত। আপাতত বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে সেখানকার ওয়াকিবহাল মহল‌।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!