এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মীদের জীবনের মূল্যকে প্রহসনে পরিণত করতে চাইছেন: দেবাশিস শীল

মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মীদের জীবনের মূল্যকে প্রহসনে পরিণত করতে চাইছেন: দেবাশিস শীল


কিছুক্ষন আগেই নবান্ন থেকে ফ্যাক্সবার্তায় রাজ্য সরকার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন একদফায় আগামী ১৪ মে করা হোক এবং ভোটগণনা হোক আগামী ১৬ মে। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নির্বাচনী সুরক্ষার জন্য রাজ্যের ৫৮ হাজার বুথে ৫৮ হাজার পুলিশ দেবে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। তিনি আজ জানান, মুখ্যমন্ত্রী সার্বিকভাবে ভোটারদের নিরাপত্তা ও সরকারি কর্মীদের জীবনের মূল্যকে প্রহসনে পরিণত করতে চাইছেন। প্রথমকথা, রাজ্যের কাছে ৫৮ হাজার পুলিশই নেই, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৪০ হাজারের কাছাকাছি রাজ্য পুলিশ নির্বাচনী কাজে যুক্ত ছিলেন, বাকি ৩০০ কোম্পানি কেন্দ্রিয়বাহিনী এনে মোট ৭২ হাজার বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছিল। এবছর রাজ্য পুলিশের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে, আমাদের হিসাব অনুযায়ী সেটা আনুমানিক ৪৬ হাজার হবে। অর্থাৎ ৫৮ হাজার বুথে সাকুল্যে সশস্ত্র পুলিশ থাকতে পারে ৪৬ হাজারের কাছাকাছি, বাকি হয় হোমগার্ড নাহয় সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে নির্বাচন করতে চাইছে রাজ্য সরকার। দ্বিতীয়ত, পুলিশবাহিনীর সকলকেই তো আর নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করা যাবে না, রাজ্যের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচনের দিন এলাকার শান্তি বজায় রাখতেও পুলিশের দরকার হবে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

দেবাশিসবাবু আরো বলেন, পশ্চিমবঙ্গের অতি স্পর্শকাতর এবং স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ার বা হোমগার্ড দিয়ে নির্বাচন করা মানে তো আসলে প্রহসন! ভোটকর্মী হিসাবে সরকারি কর্মীদের প্রাথমিক দায়িত্ত্ব থাকে নির্বাচনী পদ্ধতি সঠিক ভাবে রূপায়িত করা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের ফলে, সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি, সরকারি কর্মচারীদের প্রাণের আশঙ্কা অনেকগুন বেড়ে গেল। তাঁরা নিজেদের প্রাণ রক্ষা করবেন না নিজেদের নির্বাচনী দায়িত্ত্ব পালন করবেন? আগামীকাল কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে নির্বাচনে সুরক্ষার ব্যাপারে আমাদের করা মামলার পরবর্তী শুনানি আছে। যে মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও নির্বাচন কমিশনকে উপস্থিত থাকতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে আমরা স্পষ্ট ভাবে এই বিষয়গুলি তুলব। অতি স্পর্শকাতর এবং স্পর্শকাতর বুথে কমপক্ষে ২-৪ জন সশস্ত্র বাহিনী না থাকলে নির্বাচনী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এবং তার চরম মূল্য ভোট করতে যাওয়া সরকারি কর্মী ও তাঁর পরিবারকে দিতে হতে পারে, এমনকি ভোটারদের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক এবং সাধারণ সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকর্মীরা ভীত ও সন্ত্রস্ত। আমরা এইসব কিছু নিয়েই আগামীকাল আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করব, আশা করি মহামান্য আদালত সব দিক বিবেচনা করে মানবিক রায় দেবেন এবং রাজ্য সরকারের এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের উপযুক্ত বিচার আমরা সাধারণ সরকারি কর্মচারীরা এবং রাজ্যের সাধারণ মানুষ পাবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!