বাড়ছে বিরোধীদের ‘চাপ’ তাই শেষবেলায় ঝুঁকি না নিয়ে নিজেই প্রার্থী তৃণমূল সভাপতি রাজ্য April 26, 2018 তৃণমূলের বেলপাহাড়ি ব্লক সভাপতি বংশীবদন মাহাতো প্রথমে ভোট থেকে সরে দাঁড়ালেও ফের কেন শেষবেলায় জমা দিলেন মনোনয়ন? এই প্রশ্ন ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক সূত্রের খবব বলছে, বংশীবদনবাবুর স্ত্রী সুপ্রিয়া মাহাতোকে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের বেলপাহাড়ি ব্লকের একটি আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে তাঁর এলাকার ভিতর পড়ছে ভুলাভেদা,বাঁশপাহাড়ি,শিমূলপাল,বেলপাহাড়ি ও সন্দাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত।এইসব এলাকায় শাসকদলের বিরুদ্ধে সংগঠন তৈরি করছে একদল আদিবাসী। যদি এলাকায় সুপ্রিয়া দেবীর জয় নিয়ে সংশয় না থাকে তবে কেন মনোনয়ন জমা দিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি? তিনি কোনো ঝুঁকি নিতে চাননা।যদি তাঁর স্ত্রী হেরে যান তাহলে কী হবে,এই আশঙ্কা নিয়েই তিনি মাঠে নেমেছেন,এমনটাই জানা যাচ্ছে বংশীবদনবাবুর ঘনিষ্ঠমহল থেকে।খতিয়ান বলছে,বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ২৯ টি আসনে ৭২ জন তৃণমূলপ্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৮ টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী আছেন ২০৫ জন।এঁদের ভিতর অনেকেই বংশীবদনবাবুর অনুগামী।অন্দরের খবর,নিজেদের অনুগামীরা যাতো দলীয় প্রতীক পান তা নিশ্চিত করতেই জেলা নেতৃত্বের উপর ‘চাপ’ তৈরির কৌশল নিয়েছেন তিনি। আরো জানা গেছে,বংশীবদনবাবু পঞ্চায়েত সমিতির যে আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন,সেই আসনে প্রার্থী হয়েছেন বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ শুভ্রা দত্তের স্বামী রাজেশ।ব্যক্তিগত কারণে শুভ্রাদেবী এবার ভোটে দাঁড়াননি।পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আসনটি এবার সংরক্ষিত মহিলাপ্রার্থীর জন্য।শুধু তাই নয়,সংরক্ষণের আওতাধীন বংশীবদনবাবুর পুরানো আসনটিও।পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মনোনয়নকে ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে নীচুতলার কর্মীদের ভেতরও।যদিও ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “বংশীবদনবাবু মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এমন খবর জানা নেই। তাঁর স্ত্রী জেলা পরিষদের দলীয় প্রার্থী। যদি বংশীবাবু মনোনয়ন দাখিল করেও থাকেন তিনি দলের টিকিট পাবেন না।” আপনার মতামত জানান -