এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নতুন বছরে আগেই বাংলাকে উপহার মোদীর, মমতাকে চরম চাপে ফেললেন শুভেন্দু!

নতুন বছরে আগেই বাংলাকে উপহার মোদীর, মমতাকে চরম চাপে ফেললেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলের নেতারা কথায় কথায় অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি বাংলার সঙ্গে প্রতিহিংসার আচরণ করছে। কেন্দ্র নাকি বাংলাকে দুচোখে দেখতে পারে না। তবে এই সমস্ত অভিযোগ যে আর ঢোপে টিকছে না, তা যত সময় যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বরঞ্চ বাংলার মানুষের কাছে একটা চিত্র বেশি করে সামনে আসছে যে, তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের পাঠানো টাকা চুরি করে মানুষকে সুবিধে পেতে দিচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতিতে নতুন বছরের আগেই মালদহ থেকে বেঙ্গালুরু নতুন ট্রেনের সূচনা করলো কেন্দ্রীয় সরকার। আর প্রধানমন্ত্রীর বাংলাকে দেওয়া এই উপহার পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোলা যাবতীয় অভিযোগকে রীতিমতো নস্যাৎ করে দিল। পাশাপাশি কেন্দ্রের সরকার যে বাংলার মানুষের পাশে থেকে তাদের উন্নয়ন করতে বদ্ধপরিকর, সেই কথাও স্পষ্ট হয়ে গেল। আর সেই বিষয়টি তুলে ধরেই কেন্দ্রের উন্নয়নকে আরও বেশি করে সামনে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এমন একটি কথা বললেন, যার পর আরও স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই তৃণমূল সরকার একেবারেই অকর্মার ঢেঁকি।

প্রসঙ্গত, এদিন মালদহ থেকে বেঙ্গালুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করা হয়। আর সেই বিষয় নিয়েই শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উপযুক্ত জবাব দিয়ে কেন্দ্রের উন্নয়নকে যেমন তুলে ধরেন, ঠিক তেমনই রাজ্যের সরকারের যে বৃথা রাজনীতি করণ, সেটাকেও সামনে আনেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই রাজ্যের প্রচুর মানুষ ব্যাঙ্গালোরে চিকিৎসা করাতে যায়। কারণ এখানে উন্নতমানের চিকিৎসা নেই। পাশাপাশি অনেকে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য সেই রাজ্যে যায়। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এবং নরেন্দ্র মোদী এই ট্রেন দিয়ে বাংলার মানুষের অনেক উপকার করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে বাংলাকে বঞ্চনা করে না, সেটা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।” একাংশ বলছেন, এতদিন তো তৃণমূল নেতারা এবং তাদের নেত্রী গলা ফাটাতেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করছে। তাহলে তাদের এই অভিযোগ তো সত্যি নয়! যদি সত্যিই বঞ্চনা হত, তাহলে তো মোদী সরকার এই ট্রেন বাংলাকে দিত না! আসলে নিজেরা চুরি করেছে জন্য কেন্দ্র টাকা আটকে দিয়েছে। আর সেটাকে নিয়েই বঞ্চনার মিথ্যে নাটক করা অভিযোগ এই তৃণমূল করতে শুরু করেছে। তবে নতুন ট্রেন দেওয়ার পরে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তৃণমূল সরকার বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার সম্পর্কে যে সমস্ত কথা বলে, তা মিথ্যা এবং রাজনীতি করা ছাড়া আর কিছুই নয় বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, মিথ্যে কথা বলা ছাড়া তৃণমূলের নেতাদের আর কোনো কাজ নেই। চুরি, দুর্নীতি করে রাজ্যটাকে তারা শেষ করে দিয়েছে। এখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্যের মানুষের সিমপ্যাথি আদায় করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সকলকেই সমান চোখে দেখে। বাংলার উন্নতির জন্য কেন্দ্র যে আন্তরিক, সেটা আবার প্রমাণ হয়ে গেল। তাই তৃণমূল নেত্রী নাকে কান্না কাঁদলেও, বাংলার মানুষ তাতে বিশ্বাস করবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, একের পর এক নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রী লেলে যাচ্ছেন, তারপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি করে বড় বড় কথা বলেন, সেটাই একটা প্রশ্ন। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নাকি সকলকে এক চোখে দেখেন! কিন্তু এখানে বিরোধীরা সভা করার অনুমতি পায় না। তবে যে প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি সম্পর্কে তিনি প্রতিহিংসার কথা বলেন, সেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী সকল রাজ্যকে সমান চোখে দেখে জন্যেই তৃণমূলের শাসন করা বাংলাতেও রেল ব্যবস্থার উন্নতি হয়। আর এটাই উন্নয়নের ভারতবর্ষ। যা থেকে পশ্চিমবঙ্গকে বাদ রাখার জন্য শুধুই রাজনীতি করে যাচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!