এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ইন্ডি জোটে বড়সড় ধাক্কা? বিপাকে পড়েই পিছু হটলেন কেজরিওয়াল, কটাক্ষ বিজেপির!

ইন্ডি জোটে বড়সড় ধাক্কা? বিপাকে পড়েই পিছু হটলেন কেজরিওয়াল, কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিজেপির বিরুদ্ধে এক ছাতার তলায় এসে সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলগুলো একটি জোট তৈরি করেছেন। যে জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। যদিও বা কটাক্ষ করে সেই জোটকে ইন্ডি জোট বলেই সম্বোধিত করছে বিজেপি। তবে যত সময় যাচ্ছে, ততই যেন সেই জোটে থাকা নেতা-নেত্রীদের সম্পর্কে একের পর এক ভয়াবহ তথ্য সামনে আসছে। কেউ চাকরি চুরি, আবার কেউ বা আবগারি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিজেদের নাম জড়িয়ে ফেলছে। আর সেই রকমই একটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ডেকে পাঠানো হলেও তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন না। তাহলে কি সর্ষের মধ্যে ভূত রয়েছে? সত্যিই কি তাহলে এই আবগারি দুর্নীতির মামলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী! তাই ভয়ে তিনি তদন্তের মুখোমুখি হতে পারছেন না! তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, আজ ইডির পক্ষ থেকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, তিনি হাজিরা দিচ্ছেন না। আর এর ফলেই প্রশ্ন উঠছে যে, যারা বড় বড় সততার কথা বলেন, যারা বিজেপির বিরুদ্ধে দেশ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন, সেখানে তাদের বিরুদ্ধেই যখন এত ভয়াবহ অভিযোগ উঠছে, তখন কেন তারা তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হওয়ার সাহস পাচ্ছেন না? অনেকে তো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই না যাওয়া দেখে এটাও বলতে শুরু করেছেন যে, সমস্ত চোর, দুর্নীতিবাজদের নিয়েই তৈরি হয়েছে বিরোধী জোট। নিজেদের চুরি ঢাকবার জন্য, নিজেরা ধরা পড়ে যাবেন জন্যেই বিরোধী একটা জোট তৈরি করে পরবর্তীতে প্রতিহিংসার কথা বলার জন্যই নিজেদের রাস্তা তৈরি করছে। আসলে নির্বাচনে এরা কিছুই করতে পারবে না। কিন্তু নিজেদের চুরি যদি ধরা পড়ে যায়, তখন এই বিরোধী জোটকে সামনে এনে তারা বলবে যে, আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ করা হচ্ছে। তাই মুখে সততার কথা বললেও, মুখে দেশপ্রেমের কথা বললেও, বাস্তবে চুরির সঙ্গে এরা এতটাই নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছেন যে, এখন তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হওয়ার মত হিম্মত হচ্ছে না বলেই দাবি সমালোচকদের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, লজ্জা থাকলে তদন্তের মুখোমুখি হতেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু সেটা হওয়ার সাহস তার নেই। পশ্চিমবঙ্গকে যেভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সহযোগীরা, যেভাবে এই বাংলার বুকে একের পর এক নেতা, মন্ত্রী চুরির জন্য দুর্নীতির জন্য জেলে যাচ্ছেন, সেই রকমই অবস্থা হয়েছে দিল্লির। যে সমস্ত জায়গায় এই বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানেই দুর্নীতি ধরা পড়ছে। তাই এদের মুখ থেকে সততার কথা মানায় না। তবে আজ না হোক কাল, দুর্নীতি করলে চরম শাস্তি পেতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুধুমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার কথা বলে আর একটা জোট তৈরি করে আর যাই হোক, বিরোধী দল চিড়ে ভেজাতে পারবে না। গোটা দেশের মানুষের কাছে যত সময় যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে যে, বিরোধীরাই সব থেকে বেশি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। তাই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মত বিভিন্ন জায়গার একাধিক বিরোধী নেতা নেত্রীরা যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নোটিশ পাচ্ছেন, তখন চাপের মুখে পড়ে যাচ্ছে সেই ইন্ডি জোট। আগামী দিনে এর প্রভাবে চরম সংকটের মুখে পড়তে হতে পারে কেজরিওয়াল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীদের শখের তৈরি এই জগাখিচুড়ি জোটকে।‌ দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!