এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অবশেষে কি ডিজিটাল মিডিয়ার উপর কড়া নজরদারি আনছে কেন্দ্র? সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যে জল্পনা!

অবশেষে কি ডিজিটাল মিডিয়ার উপর কড়া নজরদারি আনছে কেন্দ্র? সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বৈদ্যুতিন মিডিয়ার পর এবার কেন্দ্রের নজর ডিজিটাল মিডিয়ার দিকে। বর্তমানে ডিজিটাল মিডিয়ায় মানুষ অনেক খোলাখুলিভাবে নিজের মত ব্যক্ত করে। আর তা করতে গিয়ে অনেক সময় সরকার বিরোধী মতামত ব্যক্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার বিরোধী মতামত ব্যক্ত হলে তা খুব সহজেই জনমানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। আর তা থেকে অশান্তিওশুরু হতে পারে। আর সেই আশংকাতেই এবার ডিজিটাল মিডিয়ার কন্ঠরোধে উদ্যোগী হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে মনে করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য চাইছে সুপ্রিম কোর্টের। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে আবেদন জানানো হয়, এবার কঠোর নীতি প্রয়োগ করে ডিজিটাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ডিজিটাল মিডিয়াতে দেশের বিরোধীরা থেকে শুরু করে আমজনতা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে। আর তার প্রমাণ মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির মন কি বাত অনুষ্ঠানে রেকর্ড সংখ্যক ডিজলাইক পাওয়া।

কেন্দ্রের মতে অবশ্য ডিজিটাল মিডিয়ার মান অত্যন্ত নীচে নেমে গেছে। আর তাই এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নজর দেওয়া প্রয়োজন এই দিকে। টিভি চ্যানেল সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, ডিজিটাল মিডিয়ার প্রভাব বৈদ্যুতিন মিডিয়ার থেকে অনেক বেশি। কোন একটি বিষয়ে ভাইরাল হতে সেকেন্ড সময় লাগেনা। আর তার ফলে জনমানসে এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংবাদপত্র এবং বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম বর্তমানে যথেষ্ট বিবেচনা ও প্রস্তুতির পর সংবাদ পরিবেশন করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা এবং দায়িত্বপূর্ণ সাংবাদিকতার মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করা হয়। তবে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে যে মামলা চলছে, তার শুনানিতে সুপ্রিমকোর্ট এদিন জানিয়েছে, টিভিতে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন টিআরপির দৌড় নিয়ে। অন্যদিকে সাংবাদিকতার স্বাধীনতাও নিরঙ্কুশ নয়। তাই এবার বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের মান নির্ধারণের জন্য একটি প্যানেল তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। এবং এই প্যানেল 5 জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে তৈরি হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। অন্যদিকে ডিজিটাল মিডিয়ার কণ্ঠরোধ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা শুরু করেছে তুমুল হইচই।

তাঁদের মতে বৈদ্যুতিন মাধ্যম এবং সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধের পর এবার কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য ডিজিটাল মাধ্যম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিজিটাল মিডিয়ায় কিন্তু সব সময় যে সঠিক খবর পরিবেশন হয় তা কিন্তু নয়। অনেক সময় ভুয়ো খবরও ছড়ায়। আর তা দেশে চূড়ান্ত অশান্তির সৃষ্টি করে। এইসব ভুয়ো খবর ভাইরাল করার জন্য ব্যবহার করা হয় ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ এর মত জনপ্রিয় অ্যাপগুলিকে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ডিজিটাল মিডিয়ায় সারা দেশের জনগণ নিজের মত প্রকাশ করে। সে জায়গায় ডিজিটাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে জনমত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যেতেও পারে। তাই সবদিক ভেবেই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!