প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শুরু হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত দিয়ে। তবে এর শেষ কোথায় হবে, শেষ হতে আরও কত যে জল ঘোলা হবে তা নিয়ে জল্পনার অবসান নেই। দেশজুড়ে একসময় সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে জানা যায় মাদক দ্রব্য যোগের কথা। সেই সময় এই মৃত্যু তদন্ত নিয়ে বরাবরই নেট জনতার কাছে মুখ খুলে এসেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত।

তিনি দাবি করেছিলেন শুধুমাত্র সুশান্ত সিং রাজপুতই নন, বলিউডের প্রথম সারির তারকারা এমন অনেক মাদক যোগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। সুশান্ত হয়ত সেটা জানতে পেরেছিলেন বলেই তাঁকে মরতে হয়েছে।তবে সম্প্রতি চলতি সপ্তাহের শুরুতে পার্লামেন্টে যে বাদল অধিবেশন বসে সেখানে মাদক যোগের অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ রবি কিষন। আর সেই মাদক যোগ অন্য কিছু না, উঠে এসেছিল বলিউডের বিরুদ্ধেই।

তবে একথা শুনে তাঁকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সমাজবাদী পার্টির নেত্রী জয়া বচ্চন। তাঁর কথায় যে থালায় খান সেই থালাতেই ফুটো করছেন, এমন কটুক্তি শোনা যায়। ভরা লোকসভা অধিবেশনের বিজেপি সংসদ তথা এই জনপ্রিয় ভোজপুরি অভিনেতা, অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের এখানে কথায় সেই সময় কম বিতর্ক হয়নি। তবে এ বিষয়ে জল্পনা যে আরও বহু দিন চলবে সেকথাও বলাই বাহুল্য।

সম্প্রতি রাজনৈতিক এবং বিনোদন জগতে এই নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হলেও বলিউডের বেশিরভাগ ব্যক্তিত্বই জয়া বচ্চনের হয়ে কথা বলেছেন। যতই কঙ্গনা রানাওয়াত একাই এদের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন না কেন তাঁর বিরুদ্ধে যে প্রায় গোটা বলিউডi দাঁড়িয়ে রয়েছে সে কথা কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না। তবে এই বিতর্ক সম্পর্কে নতুন ভাবে যুক্ত হয়েছে পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের কথা। যে রবি কিষন নিজেই একসময় মাদক সেবন করতেন, তিনি কিভাবে বলিউডের মাদকযোগ সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বলিউডের এই স্পষ্টবাদী পরিচালক।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, বিজেপি সাংসদ তথা ভোজপুরি অভিনেতা রবি কিষন অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত “মুক্কাবাজ” ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। আর সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে কিছু দিন কাটানোর সুযোগ হয়ছিল পরিচালকের। আর তখনই তিনি দেখেছিলেন রবি কিষণের মাদক সেবনের ঘটনা। তাঁর কথায় তিনি প্রতিদিন ‘জয় শিবশঙ্কর’, ‘জয় বম ভোলে’, ‘জয় শিব শম্ভু’ বলে দিন শুরু করতেন। তাই তাঁর মুখে এ কথা মানায় না। তিনি যে গাঁজা খেতেন না, এ কথা জানেন না এহেন লোক নেই। তবে সেই ঘটনায় তাঁর পেশাদারিত্বে কোনদিনই ঘাটতি দেখা যায়নি।

সমস্ত কাজগুলো সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। তবে পরবর্তীকালে হয়তো রাজনীতির ময়দানে আসার পর তিনি এমন অভ্যাস ছেড়ে দিয়েছেন বলেই মনে করেন পরিচালক। তবে বলিউডের মাদক যোগের বিরুদ্ধে এহেন আচরণে ঘোর আপত্তি দেখা গেছে পরিচালকের কন্ঠে। তবে এখনো পর্যন্ত বিজেপি সাংসদের তরফ থেকে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া না এলেও এবার নতুন কি ঘটনা দেখতে পাওয়া যায় সেটাই দেখার অপেক্ষা।