এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উধাও মান-অভিমান! বিজেপিকে ঠেকাতে অবশেষে একজোট তিন শীর্ষ নেতা-নেত্রী, স্বস্তি ফিরছে তৃণমূলে

উধাও মান-অভিমান! বিজেপিকে ঠেকাতে অবশেষে একজোট তিন শীর্ষ নেতা-নেত্রী, স্বস্তি ফিরছে তৃণমূলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হয়ত এমনটাই চেয়েছিলেন। কিন্তু দেরি হলেও ঠিক তেমনটিই হতে চলেছে। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই তৈরি হয়েছিল সমস্যা বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে অর্পিতা ঘোষের দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। যার ফলস্বরুপ বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। আর এরপর জেলা সভাপতি থেকে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে দিয়ে অর্পিতা ঘোষকে দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই অর্পিতা ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রীতিমতো করতে দেখা যায় বিপ্লব মিত্রকে।

পরবর্তীতে নানা উত্থান পতন ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে। তবে এরপর বিপ্লব মিত্র বিজেপি ত্যাগ করে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। কিন্তু তাকে সেই ভাবে পদ দেওয়া হয়নি। এদিকে অর্পিতা ঘোষকেও জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে। তবে বিপ্লব মিত্র দলে ফেরার পর তাকে দায়িত্ব না দেওয়া নিয়ে জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বাড়তে শুরু করেছিল। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি সেই বিপ্লব মিত্রকে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান করা হয়।

অন্যদিকে অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে তার এতদিন দ্বন্দ্ব থাকলেও এবার আবার সেই অর্পিতা ঘোষকে জেলায় ফিরিয়ে এনে সংগঠনের কাজে লাগানো হচ্ছে বলে খবর। আর এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দলীয় সংগঠন করতে সোমবার এক সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্র, জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস এবং প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ অর্পিতা ঘোষের। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে।

অনেকে বলছেন, নির্বাচনের আগে এটাই প্রয়োজন ছিল। কেননা বিপ্লব মিত্রের মত দক্ষ সংগঠক এবং অর্পিতা ঘোষের মতো সুযোগ্য নেতৃত্বের উপর ভর করেই জেলা এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বিজেপিকে মোকাবিলা করা অনেকটাই সুবিধা হবে। অন্যদিকে গৌতম দাসকে সভাপতি রেখে ত্রিমুখী নেতৃত্বের ওপর ভর করে যদি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এগিয়ে যেতে পারে, তাহলে আগামী দিনে তৃণমূলকে আর এখানে পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হবে না বলেই দাবি করছেন একাংশ।

বিশ্লেষকদের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে এই বিপ্লব মিত্র এবং অর্পিতা ঘোষের দ্বন্দ্বের কারণে রাজ্য নেতৃত্বকে যথেষ্ট ফল ভোগ করতে হয়েছে। দিনকে দিন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখানে চরম আকার ধারণ করেছে। তবে এবার সেই বিপ্লব মিত্র, অর্পিতা ঘোষ এবং গৌতম দাসকে একসাথে চলার বার্তা দিয়ে জেলার সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করল রাজ্য নেতৃত্ব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাহলে কি তাদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব ছিল, তা মিটে গেল! এদিন এই প্রসঙ্গে সদ্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃনমূলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিপ্লব মিত্র বলেন, “রাজ্য আমাকে চেয়ারম্যানের পদ দিয়েছে। জেলা কমিটিতে কিছু পরিবর্তন করা দরকার বলে যদি আমার মনে হয়, তবে গৌতমের সঙ্গে আলোচনা করে করতে হবে। সোমবার গৌতম আর অর্পিতার সঙ্গে আমি বৈঠক করছি। তবে ওই বৈঠক কোথায় হবে, সেই ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”

এদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “বিপ্লবদা পুরোনো নেতা। তিনি আমাদের দলে ফিরে এসেছেন। রাজ্য তাকে জেলার সংগঠনের পদ দিয়েছে। আশা করছি আমরা একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারব। সোমবার বিপ্লবদা এবং অর্পিতার সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যাপারে কথা বলব।” এদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভানেত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য অর্পিতা ঘোষ বলেন, “আমি রাজ্য নেতৃত্বে নির্দেশে দুদিনের জন্য জেলায় যাচ্ছি। সোমবার সকালে পৌঁছে যাব। গৌতম আর বিপ্লবদার সঙ্গে কথা বলে বিধানসভা ভোটের রণকৌশল ঠিক করব।”

তবে মুখে এই তিন নেতা নেত্রী যে কথাই বলুন না কেন, অতীতের অভিজ্ঞতা যে যথেষ্ট তিক্ত, তা ভুলে যাননি এই জেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাই অতীতের মত মুখে সমন্বয়ের বার্তা দিলেও, কাজে তারা একসাথে চলবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!