প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা ভোট নির্বাচনের মুখে আবার মুখ পুড়লো শাসকদলের। তৃণমূল প্রধানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো আগ্নেয়াস্ত্র। প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর ব্লকের অন্তর্গত বেলিয়াড়া গ্রামে গতকাল রবিবার সকালে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান তাসমিনা খাতুনের বাড়িতে পুলিশ এক বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালায়।

এই সময়ে প্রধানের বাড়ি সংলগ্ন খামার থেকে পুলিশ বস্তায় লুকানো অবস্থায় তিনটি দেশি বন্ধুক, ছ রাউন্ড গুলি, একটি তলোয়ার, একটি কুড়ুল উদ্ধার করে। এছাড়াও তাঁর বাড়ির নিকটেই নির্মীয়মান একটি বাড়ির মেঝে ভেঙে পুলিশ একটি প্লাস্টিকের বালতির মধ্যে রাখা বেশকিছু তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র এলাকায়।

প্রসঙ্গত গত মাসে বেলিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শেখ বাবর আলী দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রর আঘাতে নিহত হন। বেলিয়ারা গ্রামের প্রাক্তন প্রধান শেখ বাবর আলীকে হত্যার ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল এই গ্রামের বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান তানজিনা খাতুন এর স্বামী রাহিম মন্ডলের বিরুদ্ধে।

শেষ পর্যন্ত বাবর আলীকে খুনের অভিযোগে পুলিশ রাহিম মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে। তিনি এখনো পুলিশের হেফাজতে আছেন। স্বামীর গ্রেফতারির পর থেকেই গ্রামের প্রধান তাহমিনা বেগম তাঁর দলবল নিয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তাঁর ফাঁকা বাড়িতেই গতকাল তল্লাশি চালায় পুলিশ।

পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে বোমা ও আগ্নেয়াস্রের উদ্ধার প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুর তৃণমূল ব্লক সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ” খুনের পর অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পুলিস তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।” তবে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বেলিয়ারা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান তাসমিনা খাতুন ফোনে জানিয়েছেন, ” প্রাক্তন প্রধান খুনের ঘটনার পর থেকে আমি বাড়িছাড়া। আমার স্বামী জেলবন্দি। আমাদের ফাঁসানোর জন্যই পরিকল্পনা করে অস্ত্র ও বোমা রাখা হয়েছে।”

অন্যদিকে, এই ঘটনা সম্পর্কে বিষ্ণুপুর এর এসডিপিও প্রিয়ব্রত বক্সি জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি পুলিশ বেলিয়ারা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করেছে। এই তাজা বোমা গুলি নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হবে। সমস্ত ঘটনাটির উপযুক্ত তদন্ত পুলিশ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে।