অর্থ, ক্ষমতার মোহেই শেষের মুখে তৃনমূল! মমতার ঘুম ওড়াচ্ছে বিজেপি! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 3, 2024January 3, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যের মানুষ তৃণমূলকে অনেক ভরসা করেছিলেন। বামেদের বিদায় জানিয়ে মানুষ ভেবেছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের দুঃখটা বুঝবেন। কিন্তু যত সময় গিয়েছে, ততই বোঝা গিয়েছে, শুধু ক্ষমতা ভোগ করাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতাকর্মীদের প্রধান লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ছিল। আজকে রাজ্যের বারোটা বাজিয়ে দিয়ে দুর্নীতি করে, চুরি করে ক্ষমতায় এবং অর্থের মোহে ডুবে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য কখনও চুরি করা হতে পারে না। স্বভাবতই কৃতকর্ম করলে এই জন্মেই তার ফল পেয়ে যেতে হয়। মনীষীরা তেমনটাই বলেছিলেন। হয়ত এখন তার ফল পেতে শুরু করেছে এই রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের ভেতরে যে জরাজীর্ণ অবস্থা, যেমনটা তারা রাজ্যের অবস্থা করেছেন, ঠিক তেমনটাই তৃণমূলের অন্দরমহলের অবস্থা। এখানে নতুন এবং পুরনোদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে এই দলের মুষল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি কিন্তু তৃণমূলের এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে। অবশ্য বিরোধীরা তেমনটাই করবে। আর সেই বিষয় নিয়েই দিলীপ ঘোষ যে কথা বললেন, তারপর বঙ্গ রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠছে যে, সত্যিই কি বাংলাকে শেষ করে দেওয়ার যে পাপ তৃণমূল করেছে, তার ফল এখন তাদের ভোগ করতে হচ্ছে? এভাবেই কি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে এই আঞ্চলিক দলটি? প্রসঙ্গত, তৃণমূলের এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে দিন দিলীপ বাবুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এই রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য ছিল অর্থ এবং ক্ষমতা ভোগ করা। আমরা অনেকদিন আগেই বলেছিলাম, এটা ভালো হচ্ছে না। এখন সেটা দেখা যাচ্ছে। মুষুল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে।” অনেকে বলছেন, তৃণমূলের এই দ্বন্দ যদি নাটকও হয়, যদি বিজেপির হাত থেকে বাঁচতে নিজেদের এই দ্বন্দ্বের বিষয়টি খবরে আনার চেষ্টাও করে তৃণমূল নেতৃত্ব, তা হলেও তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব পড়বে। এমনিতেই তো তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জরাজীর্ণ একটি দল। তার মধ্যে ওপর তলার নেতারা যে সমস্ত কথাবার্তা শুরু করেছেন, তাকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় তৈরি হয়ে যাবে বিভাজনের বাতাবরণ। আর তাতেই আগামী দিনে আরও ধ্বংসের বিভাজিকা দেখতে হবে এই রাজ্যের শাসক দলকে। ফলে তৃণমূলের এই দ্বন্দ নাটক হোক বা সত্যি, যে ট্রেন্ড এখন চলছে রাজ্যের শাসক দলকে কেন্দ্র করে, তা ভবিষ্যতে খুব একটা সুখকর হবে না বলেই দাবি একাংশের। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, মানুষ অনেক আশা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতা পাওয়ার পর তিনি সবকিছু ভুলে গিয়ে নিজের পরিবারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব চেষ্টা করেছেন। যার ফল আজকে তাকে পেতে হচ্ছে। দলের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তা সামলাতে গিয়ে আগামী দিন ক্ষমতা হারাতে হবে এই তৃণমূল কংগ্রেসকে। রাজ্যকে শেষ করে দেওয়ার পরিনাম ভোগ করতেই হবে এই ফ্যাসিস্ট শাসককে। যার ফল স্বরূপ তারা ধ্বংসের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে তৃণমূল দলের অবস্থাটা এমন হয়েছে যে, দলের কর্মীরা যদি বিভাজনের শিকার হয়েও কারও হয়ে গলা ফাটান, তবুও মানুষ এই তৃণমূল নেত্রীর পক্ষ নেবে না। কারণ বাংলাকে তিনি ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। তাই কর্মীরা নবীন-প্রবীনের দ্বন্দ্বের মধ্যে মিশে গেলেও, মানুষ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে থাকত, তাহলে তিনি তাও একটা ভরসা পেতেন। কিন্তু রাজ্যে বেকার সমস্যা, শিল্প না থাকার সমস্যা, চাকরি চুরির সমস্যার জন্য বিরোধী দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সব থেকে বেশি দায়ী করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই সবদিক থেকেই চরম চাপে রয়েছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তার দল থাকলে তো সরকার থাকবে। ফলে আগামী দিন এই দ্বন্দ্ব যদি অটুট থাকে, তাহলে ক্ষমতা এবং অর্থের মোহে পড়েই ডুবে যেতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -