এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতার চরম মিথ্যাচার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জালে ধরা পড়লো তৃণমূল! সোচ্চার বিজেপি!

মমতার চরম মিথ্যাচার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জালে ধরা পড়লো তৃণমূল! সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নাটক করতে খুব ভালোবাসেন। রাজ্যের প্রশাসনিক সর্বোচ্চ পদে থেকেও, শুধুমাত্র মিথ্যা দিয়ে কি করে মানুষকে ভুল বোঝানো যায়, তার চেষ্টাই তিনি সবসময় করে এসেছেন। কিছুদিন আগে তার দলের যুবরাজের নেতৃত্বে কিছু সাংসদরা দিল্লি গিয়েছিলেন বাংলার প্রাপ্য টাকা আদায় করতে। সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঙ্গে দেখা না করতে গিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন। কিন্তু পাল্টা বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, শুধুমাত্র রাজনীতি করতেই দিল্লি এসে হট্টগোল করেছে তৃণমূল। আর এবার বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে কথা বললেন, তাতে চালাকি ধরা পড়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের। প্রমাণ হয়ে গেল, এই রাজ্যের শাসকদল কেন্দ্রের কাছে বঞ্চনার যে অভিযোগ করছেন, তা মিথ্যা। যদিও বা রাজ্যের মানুষের কাছে স্পষ্ট যে, তৃণমূল চুরি করেছে। তাই হিসাব দিতে না পেরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই সমস্ত কথা বলছে। কিন্তু আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন আরও প্রকটভাবে শীলমোহর পেল বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যে আসেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। আর সেখানেই তাকি তৃণমূলের তরফে তোলা একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার বঞ্চনা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে। তারা হিসাব দিতে পারছে না। দিল্লি গিয়ে তারা শুধুই রাজনীতি করেছে। কোনো তথ্য এবং নথি দিতে পারেনি।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মাটিতে বড় বড় লেকচার দিলেও, তার নেতা নেত্রীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বললেও, নথি দিয়ে দেখানোর মত সাহস তৃণমূলের নেই। সরকারি কাজে নথি শেষ কথা বলে, কাগজ শেষ কথা বলে। কিন্তু এতই যখন নিজেদের কথার জোর থাকবে, তারপরেও কেন তৃণমূল দেখিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কথা বলে যাচ্ছে! সেটাই বড় প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের কাছে।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, যদি এতই ক্ষমতা থাকে, তাহলে মুখোমুখি এই বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়‌। রাজ্যের মানুষ দেখুক, কে ঠিক আর কে ভুল! নিজেরা চুরি করবে, তাই তথ্য-প্রমাণ দিতে না পারার ভয় রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই শুধু রাজনৈতিক কথা বলে বিজেপিকে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে খাটো করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু এসব করে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে পারবেন না। আগে টাকার হিসাব দেবেন, তারপরেই কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ নেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পান থেকে চুন খসলেই বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে ছাড়ে না। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এত বড় হাতিয়ার পেয়েও, তিনি কাগজ কেন দেখাতে পারছেন না? শুধু মুখেই বড় বড় কথা বললে তো সবকিছু হবে না। তাকে তো তথ্য প্রমান নিয়ে নিজের দাবির স্বপক্ষে আওয়াজ তুলতে হবে। কিন্তু সেটা না করার পেছনেও যে যথেষ্ট কারণ রয়েছে, এই রাজ্যে যে একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এবং সেই কারণেই যে তৃণমূল নেতারা ভয়ে রয়েছেন, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই কাগজ না দেখিয়ে, তথ্য-প্রমাণ সামনে না নিয়ে শুধুই রাজনীতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা নেত্রীরা। যার ফলে তৃণমূলের চালাকি কেন্দ্রীয় সরকারের জালে ধরা পড়ে গেল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগের পর এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!