প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বহুদিন ধরেই গেরুয়া শিবির পরিকল্পনা করেছিল আজকের নবান্ন অভিযানের। অনেকেই মন্তব্য করছেন, নবান্ন অভিযান আজ ব্যর্থ হয়েছে। উপরন্তু নবান্ন অভিযান করতে গিয়ে পুলিশের হাতে বেধড়ক লাঠিও জুটেছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। সবমিলিয়ে আজকের দিনটা গেরুয়া শিবিরের জন্য মোটেই ভালো নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্য প্রশাসনের ওপর, পুলিশের ওপর।

সেরকমই এবার সংসদ তথা যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ আজকের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। উপরন্তু নবান্ন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ওপরই তিনি বিশেষ করে আলোকপাত করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, কর্মসংস্থানের জন্য, আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য, মানুষের সুরক্ষার দাবি জানানোর জন্য নবান্ন আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল আজ। কিন্তু আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন, যা আজ পর্যন্ত যা কখনো হয়নি।

সৌমিত্র খাঁ নবান্নকে কাটমানি ইউনিভার্সিটি বলে এদিন উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে তিনি জানিয়েছেন, দলের নেতাদের ওপর চূড়ান্ত অত্যাচার করা হয়েছে। আজকে বিভিন্ন জায়গায় দলের কর্মী-সমর্থকদের যেভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নিন্দনীয় বলে তিনি জানিয়েছেন। সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, প্রচুর নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে, দেহরক্ষীর বন্দুক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দলের নেতা তেজস্বী সূর্য, দিলীপ ঘোষের উপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে সৌমিত্র খাঁ যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি। জানা গিয়েছে রাজু ব্যানার্জি হাসপাতালে ভর্তি। বিজেপি মতে আহত হয়েছেন 270 জন।

আজকের অভিযানে যেসব পুলিশ আধিকারিক বাধা দিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। অন্যদিকে সৌমিত্র খাঁ যতই মুখ্যমন্ত্রীর অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলুন না কেন রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, গেরুয়া শিবিরকে শেষ মুহূর্তে এসে নবান্ন বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রী মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জীবাণুমুক্ত করার জন্য নবান্ন এবং রাইটার্স দু’দিন বন্ধ থাকবে। এমনকি সমস্ত কর্মচারীদেরও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আপাতত প্রশাসনের বিরুদ্ধে যেভাবে বিজেপি লড়াই শুরু করেছে, তা আগামী দিনে আরও কত দূর এগোয় সে দিকেই এখন লক্ষ্য সবার।