প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচি যখন থেকে পরিকল্পনা হয়েছিল, তখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। করোনা আবহের মধ্যেই নবান্ন অভিযান সফল করার জন্য বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিজেপি নেতা ও কর্মীরা যোগ দেবেন বলে ঠিক থাকে। সেই অনুযায়ী আজকে নবান্ন অভিযানে তাঁরা যোগ দেন। অন্যদিকে নবান্ন অভিযানের আগেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিজের মতামত দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মুকুল রায়। দীর্ঘদিন পর মুকুল রায় আবারও প্রত্যক্ষ ভাবে বিজেপির কর্মসূচিতে।

এদিন মুকুল রায় জানিয়েছেন, তিনি নবান্ন অভিযানে উপস্থিত থাকার জন্য দিল্লি থেকে ফিরে এসেছেন। তবে তিনি অভিযানের শুরুতেই জেনে গিয়েছিলেন, নবান্ন দু দিনের জন্য বন্ধ থাকছে। অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় এ দিন জানান, যে সমস্ত যুব মোর্চার কর্মীরা গাড়িতে করে বিভিন্ন জায়গা থেকে আন্দোলনে যোগ দেবেন বলে আসছিলেন, তাঁদেরকে মাঝরাস্তায় আটক করা হয়েছে। এবং একথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুকুল রায় আরও বলেন, রাজ্য সরকার বর্তমানে প্রশাসন নির্ভর হয়ে পড়েছে।

এবং যে সরকার প্রশাসন নির্ভর হয়ে পড়ে তাদের কখনো আর উন্নতি হতে পারে না বলে আজ মুকুল রায় দাবী করেন। এই সরকারের ভবিষ্যতও যে ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে, সে ইঙ্গিতই করেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপি যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করে, সে কথা বারবার জানিয়েছেন তিনি। এমনকি মুকুল রায় আন্দোলনে যাবার আগেই দাবি করেন, নবান্ন অভিযানে যেখানে আটকানো হবে তাঁদের, সেখানেই থেমে যাবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু আন্দোলন শুরু হওয়ার পরে অবশ্য দেখা গেছে ভিন্ন ছবি।

পুলিশের দিকে আঘাত করার জন্য ব্যারিকেড ভাঙ্গা থেকে শুরু করে কাঁচের বোতল ছোঁড়া, অভিযানের মধ্যেই বোমাবাজি করা এবং বিজেপি কর্মীর থেকে বন্দুক উদ্ধার করা- সম্পূর্ণ অন্যদিকে ইঙ্গিত করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আজকের অভিযান নিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুলিশ যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে, তাই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সব মিলিয়ে আজ দিনভর বিজেপি এবং পুলিশের মহারণ নিয়ে উত্তাল হল বাংলা।