এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার দলেরই কার্যালয় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, জোর চাঞ্চল্য তৃণমূলে!

এবার দলেরই কার্যালয় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, জোর চাঞ্চল্য তৃণমূলে!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অভিযোগ উঠেছিল দলের জনপ্রতিনিধিরা। মানুষকে সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার বদলে ক্ষতি দুর্যোগের ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে শুরু করে নানা সাহায্য আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু এবার নিজেদের দলের কার্যালয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের নেতা হয়ে কীভাবে তিনি দলের কার্যালয় বিক্রি করে দিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গোপাল নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গা মোড়ে মোড়ে ।

2018 সালে সেচ দপ্তরের জায়গায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি দলীয় কার্যালয়ে গড়ে তোলা হয়। আর এই কার্যালয়টি কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা গোপালনগর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মানিক সামন্ত সম্প্রতি সাড়ে 8 লক্ষ টাকায় শেখ রাজা নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে এইভাবে এক নেতার হাত দিয়ে বিক্রি হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুসতে শুরু করেছেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা। ইতিমধ্যেই সেই শেখ রাজাকে তাদের কার্যালয় ফিরিয়ে দেওয়ার কথা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হলেও তিনি রাজি হননি। যার ফলে এখন সমস্যা বাড়তে শুরু করেছে।

কিন্তু কেন মানববাবু নিজেদের দলের কার্যালয় বিক্রি করে দিলেন? একাংশ বলেছেন, কোলাঘাটে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর রয়েছে। অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম বিপ্লব রায় চৌধুরীর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সকলেরই জানা। যে তৃণমূল নেতা এই কার্যালয় বিক্রি করে দিয়েছেন, তিনি বিপ্লব রায় চৌধুরীর অনুগামী বলে পরিচিত। কিন্তু শুধুমাত্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে কেন দলীয় কার্যালয় বিক্রি করে দেওয়া হবে?

এদিন এই প্রসঙ্গে মানব সামন্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি নিজের টাকায় বাড়ি তৈরি করেছিলাম‌। দলের থেকে এক টাকাও নিইনি। 2019 সালের লোকসভা ভোটের সময় আমি বাড়িতে নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে দলকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম। আমার বাড়ি আমি বিক্রি করতেই পারি‌। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। ওটা খাস জায়গা। ফাঁকা পড়ে ছিল। অনেকেই খাস জায়গায় নির্মাণ করে। আমিও করেছিলাম। বাড়ি বিক্রি করেছি। জায়গা তো আর বিক্রি করিনি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা এই প্রসঙ্গে পাল্টা মুখ খুলেছেন ব্লক যুব তৃনমূলের সভাপতি রাজকুমার কুন্ডু। এদিন তিনি বলেন, “দলীয় কার্যালয় কেউ বিক্রি করতে পারেন না। ওখানকার স্থানীয় নেতৃত্ব আমাকে বিষয়টা জানিয়েছে। আমি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি, এই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবার জন্য।” আর এই গোটা ঘটনা নিয়ে এখন তীব্র টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকায়।

সত্যি সত্যিই যদি এই কার্যালয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাড়ি হয় এবং তিনি এর জন্য টাকা খরচ করেন, তাহলে তা বিক্রি করে দেওয়া সত্ত্বেও কেন তৃণমূলের পক্ষ থেকে অন্যান্য নেতারা এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলবেন! তবে যদি তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা এই কার্যালয়কে দলীয় কার্যালয় বলে দাবি করেন, তাহলে অভিযুক্ত নেতা কেন সেই দলীয় কার্যালয় বিক্রি করে দেওয়ার মত সাহস দেখাবেন! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এখন দলীয় স্তরে এই গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!