এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > যুব বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচার নিয়ে সরব দিলীপরা! পাল্টা আক্রমণে মমতার মুখ্যসচিব

যুব বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচার নিয়ে সরব দিলীপরা! পাল্টা আক্রমণে মমতার মুখ্যসচিব


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মহানগরের বুকে আজ হয়ে গেল রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান। যদিও সেই অভিযান সফল হয়েছে, সে কথা কেউই বলছেন না। কারণ মাঝপথেই সেই অভিযান ব্যর্থ হয়েছে পুলিশি তৎপরতায়। দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবির এই অভিযান নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা করে রেখেছিল। কিন্তু মোক্ষম সময়ে এসে নবান্ন জীবাণুমুক্ত করার জন্য দু’দিন বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি নবান্নের কর্মচারীদেরও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় গেরুয়া শিবিরের নবান্ন অভিযান কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও বিজেপি কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থাকে।

এবং আজকে বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানও শুরু হয়। কিন্তু এই অভিযান পুলিশ স্বাভাবিকভাবেই আটকে দেয়। পুলিশের দিক থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ববিধি করোনা পরিস্থিতিতে শিকেয় তুলে মিছিল করে জনসমাগম করা হয়েছিল। অন্যদিকে মিছিল আটকাতে গেলে পুলিশকেও মিছিলকারীদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। তাতে জখমও হয় বেশ কিছু পুলিশ আধিকারিক। কিন্তু মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে জলকামান ছোঁড়া হয় এবং তারপর লাঠিচার্জ করা হয়। আর তাতেই মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী জখম হয়েছেন পুলিশের আঘাতে। অন্যদিকে পুলিশি তৎপরতা নিয়ে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে আলোচনা। পুলিশের নিন্দায় এমনিতেই মুখর হয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপির বিভিন্ন অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে যেখানে দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁসহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা তীব্র নিন্দা করেছে পুলিশি পদক্ষেপের, সেখানেই মুখ্য সচিব দাবি জানিয়েছেন পুলিশের সংযম ছিল বলেই অনেক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজকে সবথেকে চাঞ্চল্যকর ঘটনা হল, মিছিলে যোগদানকারী বিজেপির এক কর্মীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। এবং তারপরেই পুলিশ আরো তৎপর হয়ে ওঠে এই মিছিল আটকানোর জন্য। এই পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, যে বন্ধুক পুলিশ উদ্ধার করেছে সেটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তাই সেটি অবশ্যই পুলিশকে ফেরত দিতে হবে। দিলীপ ঘোষের মতে, মিছিল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়া কোন নিয়মভঙ্গ নয়। অন্যদিকে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য এদিন জানিয়েছেন, যুব কর্মীদের ওপর যে হামলা করেছে পুলিশ, তা রাজনৈতিক ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসেবে পরিচিত হবে।

অন্যদিকে গেরুয়া শিবির থেকে আজকের মিছিলের ফলাফল দেখে দাবি করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে গিয়েছেন আর তাই মিছিল থামানোর জন্য এত পুলিশি তৎপরতা। দিনভর বিজেপি নেতারা ক্রমাগত প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার পর বিকেল হতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিকদের জানান, নিয়ম মেনে বিজেপিকে মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিছিলে বিধি ভঙ্গ হয়। তাই পুলিশ নিয়ম মেনে মিছিল আটকেছে।

অন্য দিকে পুলিশ যে জলকামান ব্যবহার করেছে তা নিয়েও গেরুয়া শিবির থেকে অভিযোগ উঠেছে, রাসায়নিক মিশ্রিত পানীয় ফেলার। কিন্তু আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, হোলির রং মেশানো ছিল জলে যাতে বিক্ষোভকারীদের আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, গেরুয়া শিবিরের নবান্ন অভিযান ঘিরে যেভাবে দক্ষযজ্ঞ হল আজ শহরের রাজপথে তার রেশ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভালোই প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আজকের পর তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব যে অন্যমাত্রা নেবে সে কথা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!