প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একের পর এক দুর্নীতির ঘটনায় ভোটের আগে উত্তাল হয়ে উঠছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য। বছরের প্রথম থেকেই রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসা যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে অনাচার কমাতে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে অপরাধমূলক কাজের জন্য উত্তর প্রদেশের নাম খবরের শিরোনামে উঠে আসতেই দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের খোদ মুখ্যমন্ত্রীই প্রাণের হুমকি দিয়ে ফোন করার অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে।

জননেতা বা মন্ত্রীদের সঙ্গে এমন ঘটনা স্বাভাবিক ব্যাপার বলেই মনে করেন অনেকে। যেমন কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারের ক্ষেত্রেও এমন হুমকিমূলক ফোন আসার খবর সামনে এসেছিল। সেইসঙ্গে জননেতা বা দরদী সমাজসেবী হলে, তাঁর কর্মবিরোধীদের এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রাণের হুমকি আসতে পারে বলেই মনে করেন তাঁরা। তবে সম্প্রতি জানা গেছে, যোগী আদিত্যনাথকে বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার খবর সামনে এসেছে।

তবে এটা প্রথম নয়, এর আগেও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বেশ কয়েকবার প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেই জানা গেছে। চলতি বছরের জুন মাসে উত্তর প্রদেশ পুলিশের এমার্জেন্সি সার্ভিস নম্বর ১১২তে একটি হুমকি ভরা ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছিল। এরপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সুরক্ষা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ম্যাসেজে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। উত্তর প্রদেশের পুলিশ এই হুমকির তদন্তে নেমে মুম্বাই থেকে একজনকে গ্রেফতারও করেছে বলে জানা গেছে।

মুম্বাই এটিএসের সাহায্যে গ্রেফতার করা ওই ব্যক্তির নাম কামরান। তিনি মুম্বাইয়েরই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ওই যুবক মুম্বাইতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করত। ২০১৭ সালে তার স্পাইন টিবির অপারেশনও হয়। এরপর সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে সম্পূর্ণ বেকার জীবন কাটাতে থাকে। কামরানের পরিবারে তাঁর মা, বোন আর এক ভাই আছে বলে জানা গেছে। তাঁকে গ্রেফতার করার পর, তদন্তে নেমে উত্তর প্রদেশের পুলিশ জানতে পেরেছে যে, উত্তর প্রদেশের মাফিয়া মুখতার আনসারিকে জেল থেকে ছাড়ানর জন্য এই হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। উত্তর প্রদেশের ১১২ হোয়াটসঅ্যাপে এই হুমকি ভরা ম্যাসেজ পাঠিয়ে তিনি হুশিয়ারি দিতে চেয়েছিলেন। তবে এরম মাফিয়াকে ছড়ানো নিয়ে তাঁর এত প্রয়োজন কোথায়, সেই সমস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে তাঁর সঙ্গে অন্য কারো যোগাযোগ ছিল কিনা সেই নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। হজরতগঞ্জ পুলিশ থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই সাইবার সেলের টিম মামলার তদন্তে করছে বলে জানা যায়।