বাম-কংগ্রেস জোট রক্ষার মরিয়া শেষ চেষ্টা ইয়েচুরির, আজ সমাধান না হলে বাকি আসনেও প্রার্থী জাতীয় রাজ্য March 19, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপিকে রুখতে হাতে হাত ধরে চলা উচিত বলে প্রথম থেকে সওয়াল করে এসেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ও বিধান ভবনের নেতারা। কিন্তু রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ আসন নিয়ে প্রথম সেই জোটের জট তৈরি হয়। কেননা 2014 সালে এই দুটি আসনে বামেরা জয়ী হলেও এবার সেখানে যদি বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট হয় তাহলে কংগ্রেসই তাদের প্রার্থী দেবে বলে নাছোড়বান্দা দাবি করলে জোটের শর্ত অনুযায়ী যারা অতীতে সেখানে জয়ী হবে তারাই সেখানে প্রার্থী দেবে বলে পাল্টা দাবি জানায় বামেরা। আর এতেই কিছুটা মুষড়ে পড়ে কংগ্রেস। এইভাবে একতরফাভাবে বামেরা প্রার্থী দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে যায় হাত শিবির। এমনকি এই ব্যাপারে হাইকমান্ডের কাছে দাবিও জানান রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। আর এমতাবস্তায় রাজ্যে 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে 25 টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেয় বামেরা। আর এতেই প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের ওপর আরও ক্ষুদ্ধ হয়। আর এরপরই রাজ্যে একক ভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে হাইকমান্ডের দ্বারস্থ হয় প্রদেশ কংগ্রেস। এদিকে কংগ্রেস যখন একক ভাবে লড়ার জন্য তৈরি হচ্ছে, ঠিক তখনই মনে করা হয়েছিল তাহলে হয়তো আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের 25 টি লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করার পর বাকি 17 টি আসনেও নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে দেবে বামেরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু না, এদিন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সেই বাকি প্রার্থী ঘোষণার জন্য আরও কিছুটা সময় নেওয়ার কথা জানিয়ে দেন।সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার ফ্রন্টের বৈঠকের পরই তিনি যা বলার বলবেন বলেও জানান বিমান বাবু। আর বিমান বসুর এহেন মন্তব্যেই তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা। তাহলে কি রাজ্যে যৌথভাবে কংগ্রেসের সাথে লড়ার জন্যই সেই কংগ্রেসের যাতে মন ভাঙ্গে তার জন্য আরও কিছুটা সময় নিচ্ছে বামেরা! সূত্রের খবর, বাংলায় আসন নিয়ে কংগ্রেস যে দাবি জানাচ্ছে তা আদৌ যুক্তিগ্রাহ্য নয় বলে রবিবারই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আর সেই কথোপকথনেই গত 2016 সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের জন্যই কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও রাহুল গান্ধীকে জানান সীতারাম ইয়েচুরি। এদিকে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলার পর সোমবার সকালে দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার জন্য এআইসিসিকে সবুজ সংকেত দেন রাহুল। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হওয়ায় কংগ্রেস ঠিক কোন পথে এগোয় তা দেখে নেওয়ার জন্যই নিজেদের বাকি থাকা 17 টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা থেকে বিরত থাকার কথা জানালেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কিছুটা ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানকে। তিনি বলেন, “রাজ্যে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের জন্য আমরা অনেক আগে থেকেই আহবান জানিয়েছি। প্রথমে আমরা ঠিক করেছিলাম এই দুই শিবিরের জেতা 6 টি আসনের প্রার্থী দেবো না। আমরা কিন্তু কাউকে কত আসন দেবো বা নিজেরাই কত নেব সে বিষয়ে কথা দেইনি। দু-একটা আসনে গণ আন্দোলন থেকে উঠে আসা সর্বসম্মত প্রার্থী দেওয়ার কথা বিবেচনা করেছি। বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী ভোট এককাট্টা করার জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। মঙ্গলবার ফ্রন্টের বৈঠকের পর তালিকা প্রকাশ করা হবে কিনা সেই ব্যাপারে বিস্তারিত বলব।” সব মিলিয়ে এখন বাম- কংগ্রেস দু’পক্ষের আলোচনায় সাত মন তেল পুড়িয়ে রাধা নাচে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -