করোনাকালে পুজো দেখতে প্যাণ্ডেলে ভিড় করলেই নেওয়া হবে কঠোর ও কঠিন সিদ্ধান্ত? জানুন বিস্তারে অন্যান্য রাজ্য শরীর-স্বাস্থ্য October 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পুজোর আগে শুরু হয়ে গেছে আনলক ৫। সেই সঙ্গে বাস মেট্রো চলছে। মানুষের ভিড়ও হতে দেখা যাচ্ছে। ফলে পুজোর সময় যে এই চিত্রের কিছু বিপরীত হবে না সেই আশঙ্কাই করা হচ্ছে। বরং ভিড় বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সেই সঙ্গে যে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের হারও বাড়বে, সেটা বলাই বাহুল্য। আর সেই নিয়েই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ডাক্তার চিকিৎসকেরা। তাঁদের কথায়, এখন থেকে যদি ঠিকমত ব্যবস্থা না নেওয়া যায় তাহলে সমস্যা সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হবে। তাই এখন থেকেই পুজো উদ্যোক্তাদের সাবধান করতে দেখা গেছে। তবে কি মনে করছেন পুজো উদ্যোক্তারা?জানা গেছে, বেশি ভিড় হলে পুজো মণ্ডপ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেকে। বস্তুত করোনা পরিস্থিতিতে এমনই সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, দেশপ্রিয় পার্ক এর মত পুজো কমিটি গুলোকে। তাঁদের মতে, ভিড় যাতে বেশি না হয়, এবার সে কারণে ছোট্ট মণ্ডপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এরপরেও যদি দেখা যায় যে ভিড় বাড়ছে, তবে মাইকে ঘোষণা করে গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেই জানা গেছে। এদিন একই মত প্রকাশ করে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের সম্পাদক জানিয়েছেন যে, প্রতি বছরই উত্তরের এ পুজোয় কয়েক লক্ষ লোকের সমাগম হয়। তবে এবার তেমন হলে, সংক্রমণ যে শুধু মণ্ডপের ভিতরেই ছড়াবে তা নয়। অন্য কোথাও ছড়াবে না তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে যদি ত্রিশ জন করেও মণ্ডপে প্রবেশ করানো হয়, সেখানেও মুশকিল। যেখানে মানুষকে আটকানো হবে সেখানেও একটা ভিড় তৈরি হবে। তাই ভিড় হলে মণ্ডপ বন্ধ করে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে, যাতে ইন্টারনেটে প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করা যায় তার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন চিকিৎসকরাও। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লিখেছেন চিকিৎসকদের অন্যতম সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। জানা গেছে, স্বাস্থ্যসচিব এনএস নিগমের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন আইএমএ-র কর্তারা। সেখানে পুজোর পর টেস্ট বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে বলেছেন বলেও জানা গেছে। সেই সঙ্গে পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণেও সরকারকে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, জেনেশুনে ভিড় বাড়তে দেওয়া মানে গণ আত্মঘাতী পরিস্থিতি তৈরি করা। তাই রাজ্যের করোনা হাল খতিয়ে দেখে চিকিৎসকরা চিঠিতে লিখেছেন, মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকে লক্ষণীয়ভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পে। তাই সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে এটাই সময় সাবধানতা অবলম্বন করার। তা না করে উৎসব পালনের আবেগকে অধিকতর মান্যতা দিতে গেলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অনাড়ম্বর উৎসব পালনের জন্য সই সংগ্রহও করতে দেখা গেছে চিকিৎসকদের। জানা গেছে, গতকাল সন্ধে পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট হাজার চিকিৎসক সেখানে সই করেছেন। ডক্টরস ফোরামের আবেদনের সমর্থন জানিয়ে ডা. কুণাল সরকার বলেন যে, যাঁরা মানুষকে ঠাকুর দেখতে না বেরনোর জন্য আবেদন করেছেন তাঁদের সঙ্গে তিনি সম্পূর্ণ সহমত। ওই চিঠির তলায় তাই তাঁরও একটা সই থাকবে। বস্তুত, বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো আর ভিড়কে সমার্থক বলেই মনে করেছেন তিনি। তাঁর মতে, কলকাতায় পুজো মানে, ঠাকুর দেখা ছাড়াও ধাক্কাধাক্কি আর হুল্লোড়। অন্যান্য বছরে যা হয়, সেটা যদি এবারও করতে যাওয়া হয়, তবে সাধারণ মানুষ সাংঘাতিক বিপদে পড়বে বলেই মনে করছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি হাসপাতালেও বেড ক্রমশ কমছে। স্রেফ আমজনতাকে নয়, স্বাস্থ্যবিধি মানতে পুজো উদ্যোক্তাদেরও তাই এগিয়ে আসাটা অত্যন্ত জরুরী বলেই মনে করেন তিনি। তাই যাদের মাস্ক নেই, তাদের মাস্ক কিনতে সরকারি বরাদ্দের ওই টাকা থেকেই পুজো কমিটিগুলি মাস্ক কেনার জন্য যাতে খরচ করে সেই কথাও বলতে শোনা গেছে তাঁকে। আপনার মতামত জানান -