এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান লাভের পরেই, উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য ঘোষণার দাবিতে সরব জণ বার্লা

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান লাভের পরেই, উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য ঘোষণার দাবিতে সরব জণ বার্লা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতমাসে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে গঠনের দাবি করেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জণ বার্লা। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন যে, উত্তরবঙ্গের মানুষ এটাই চান। উত্তরবঙ্গের প্রকৃত উন্নয়ন ঘটে নি। তাঁর এই বক্তব্য রাজনীতিতে প্রবল ঝড় তুলে দিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে তীব্রভাবে সরব হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর পর্যন্ত করা হয়েছিল। তবে নিজের রাস্তা থেকে সরে আসেন নি তিনি। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবার পর আবার স্বাধীন উত্তরবঙ্গের দাবি করেছেন জণ বার্লা।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জণ বার্লা জানালেন যে, স্থানীয় মানুষের দাবী মেনে উত্তর বঙ্গের বিভাজন করার প্রয়োজন আছে। উত্তরবঙ্গকে স্বাধীন রাজ্য করার দাবি প্রায় ১০০ বছরের পুরনো। স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি এটি। এ বিষয় নিয়ে তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি আরো জানালেন যে, জনতার দাবীকে কখনোই দাবিয়ে রাখা যায় না। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি বলতে চান না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জণ বার্লা। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ভয়ের একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু তাঁরা রাজ্যে শান্তি ফেরাতে চান। আবার সরাসরি তাঁর নাম না করেও তাঁকে ও বিজেপিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি বলে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, তৃণমূল কি ভাবল? তা নিয়ে তাঁর কোন মাথাব্যথা নেই। পশ্চিমবঙ্গে শান্তি ফেরানো দলের লক্ষ্য। সংখ্যালঘু উন্নয়নে কেন্দ্র ও রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে রূপায়ণ করতে দেয়া হয় না। এই প্রকল্প গুলি যাতে সুষ্ঠুভাবে রূপায়িত করা যায়, সেজন্য প্রয়োজনে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান লাভের পর কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক জানালেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ করছেন, তাতে যোগদান করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যশালী বলে মনে করছেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মতো অভিভাবকের নেতৃত্বে কাজ করার সুযোগ পেতে চলেছেন তিনি। রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানালেন যে, সবেমাত্র মন্ত্রীর আসনে বসেছেন তিনি। তাই ভাবার জন্য কিছুটা সময় চেয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা চলবে। তবে, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় গোটা দেশের জন্য তিনি ভাববেন। তবে যেহেতু তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছেন। তাই রাজ্যের জন্য বাড়তি টান থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। একে একে সব কিছু বলবেন, কিছুটা সময় তিনি চেয়েছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার সময় আর বেশি কিছু তিনি বলতে চান না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!