বন্যায় সর্বনাশ আসন্ন, অবশেষে নজর দিলেন মমতা? হেলদোল মন্ত্রীকে কটাক্ষ বিরোধীদের! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 4, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে যখন বন্যার ভ্রুকুটি দেখা দিতে শুরু করেছিল, তখনই তৃণমূলের সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা চলে গিয়েছিলেন দিল্লিতে বাংলার বঞ্চনার প্রতিবাদে আন্দোলন করতে। আর সেই সময়ই তার প্রতিবাদ জানাতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বর্তমানে সিকিমের হড়পা বানে তিস্তার একটি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে। উত্তরবঙ্গের নদীগুলোতে কার্যত প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আর পুজোর মধ্যে এই বন্যার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষদের মধ্যেও তৈরি হচ্ছে ভয়ের পরিবেশ। তবে এখানেই বিরোধীরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগকে আটকানোর মতো ক্ষমতা কারওর নেই। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যদি আগেই বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টাটুকু হত, তাহলে হয়তো সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত থাকতেন। কিন্তু গোটা তৃণমূল দল এবং সরকারের মন্ত্রীরা দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে ব্যস্ত। যার কারণে পুজোর মুখে ভাসতে পারে উত্তরবঙ্গ বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, এদিন উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে অসুস্থ থাকার কারণে বাড়ি থেকেই অডিও বার্তায় গোটা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে রাজ্যের সেচমন্ত্রী আজই বাংলায় ফিরছেন। কিন্তু তাকে কলকাতায় না এসে সোজা উত্তরবঙ্গে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এখানেই অনেকে প্রশ্ন করছেন, যখন এই বাংলা থেকে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা দিল্লিতে যান, সেই সময় থেকেই নদীগুলোর জল বাড়তে শুরু করেছিল। ফলে সেচমন্ত্রী যদি তার আধিকারিক নিয়ে নিয়ে দফায় দফায় এই দুই দিনের মধ্যে বৈঠক করতেন, তাহলে সাধারণ মানুষ বুঝতেন যে, রাজ্যে প্রশাসনটুকু রয়েছে। কিন্তু তেমন কিছুই দেখা যায়নি। এখন বিপদ আসন্ন বুঝে প্রশাসনের ঘুম ভেঙেছে বলেই কটাক্ষ সমালোচক মহলের। বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছু নেই। পুলিশ দিয়ে কি করে বিরোধীদের আটকাতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বন্যা হলেই তিনি হয়তো কদিন পরে বলে বসবেন, এটা তো ম্যানমেড বন্যা। এই তো রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কাছ থেকে আশা করা যায়। এর বেশি তো সাধারণ মানুষ আর কিছু আশা করতে পারেন না। তাই বন্যা যখন একেবারে দুয়ারে, তখন সরকার নিজেদের মানবিকতার পরিচয় দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছেন। কিন্তু এসব করে মানুষের সিমপ্যাথি আদায়ের বৃথা চেষ্টা করছে রাজ্য বলেই মত বিরোধী শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উস্মা প্রকাশ করেছিলেন। মুখ্যসচিব হয়তো কয়েকটা বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। নিম্নচাপের কারণে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যার কারণে নদীগুলো এমনিতেই ফুঁসছে। তার মধ্যে সিকিমের হড়পা বানে তিস্তা নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্রবল আশঙ্কায় দিন গুজরান করছেন উত্তরবঙ্গের মানুষ। তাই এত পরে সরকারের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। আপনার মতামত জানান -