এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলে থেকে দলের বদনাম করছেন তৃণমূলের লোকজন, বড়সড় ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিজেপি

দলে থেকে দলের বদনাম করছেন তৃণমূলের লোকজন, বড়সড় ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিজেপি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিধানসভা নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। এরইমধ্যে বাংলায় তৃণমূলকে হঠিয়ে বিজেপিকে নিজের শাসনভার কায়েম করতে গেলে যে রীতিমতো আদা জল খেয়ে লাগতে হবে, সেটা আগেই শোনা গিয়েছিল রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মুখে। আর সেই মত ভোটের আগে বিজেপি বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দিয়েছে বিভিন্ন নেতাকে।

যদিও ইতিমধ্যেই তারা বস্তুত ‘বহিরাগত’ বা বাইরের রাজ্যের বলেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবুও জানা গেছে, এদের মধ্যে রয়েছেন মেদিনীপুরের দায়িত্বে থাকা মহারাষ্ট্রের পুণের বাসিন্দা সুনীল দেওধর, রাঢ়বঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বিনোদ সোনকার, উত্তরবঙ্গে উত্তরপ্রদেশের হরিশ দ্বিবেদী, কলকাতায় দিল্লির বাসিন্দা দুষ্মন্ত গৌতম ও নবদ্বীপে মুম্বইয়ের বাসিন্দা বিনোদ তাওড়ে।

অন্যদিকে, এরই মধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক সুনীল দেওধর বুধবার উলুবেড়িয়ার একটি রিসর্টে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া, হুগলির নেতাদের নিয়ে রাজ্য সাংগঠনিক বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। সেখানে নাকি দেওধর বাবু ওই চার জেলার নেতাদের প্রত্যেকের বক্তব্য শোনেন এবং লিখে নেন। আর সেখানেই তাঁদের কিছু ক্ষোভের কথাও দেওধরবাবু জেনেছেন বলেই জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানেই নাকি উঠে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাও। বস্তুত, কিছুদিন আগে বিজেপির দুই দলীয় নেতার ‘ফেসবুক-পোস্ট’ ঘিরে অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গিয়েছিল গ্রামীণ হাওড়ার বিজেপি নেতৃত্বকে। জানা গেছে, দু’জনের দুই সোশাল মিডিয়ায় ‘পোস্ট’-এ নাকি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে বুধবার দলের জেলা (গ্রামীণ) কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ মণ্ডলের ‘পোস্ট’টিতে লেখা দেখা যায়, “পদের অপব্যবহার করছেন, এই দলটার নাম কিন্তু বিজেপি”।

অন্যদিকে, দলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি রমেশ সাধুখাঁ গতকাল ফেসবুকেই ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গেছে। আর দলের জেলা (গ্রামীণ) কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ মণ্ডল অবশ্য এ জাতীয় কোনও ‘পোস্ট’ করেননি বলেই জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি দলবিরোধী কোনও পোস্ট করিনি। কোন নেতার নামেও কিছু বলিনি। তবে, দলকে কথা দিয়েছি, ভবিষ্যতে দল নিয়ে কোনও পোস্ট করব না।’’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল দেওধরের নেতৃত্বে বুধবার থেকে উলুবেড়িয়ার একটি রিসর্টে যে তিন দিনের বিশেষ সাংগঠনিক সভা শুরু হয়েছে, সেখানেই বৃহস্পতিবার উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল রমেশ এবং সুরজিৎ বাবুকে। আর কাল সভা শেষেই নাকি সেখানে ওই দুই নেতার ওই পোস্ট নিয়ে দেওধরকে প্রশ্ন করা হয়।

জানা গেছে, সেখানে রমেষবাবু বলেন, ‘‘যাঁরা দলে থেকে দলের বদনাম করছেন, তাঁরা তৃণমূলের লোক। তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।’’ তাঁর কথায়, গত ১৩ই নভেম্বর তাঁর একটি অনিচ্ছাকৃত পোস্টে যদি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে থাকে, তা হলে তিনি বিশেষ ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে এখনও পর্যন্ত দুই নেতার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তা জানা যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!