এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যপালকে কাঠের পুতুল ভেবেছিলেন মমতা? তবে এবার হাতেনাতে ফল পাচ্ছে নবান্ন!

রাজ্যপালকে কাঠের পুতুল ভেবেছিলেন মমতা? তবে এবার হাতেনাতে ফল পাচ্ছে নবান্ন!


 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সিভি আনন্দ বোস পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি সরকারের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। সরকারের একের পর এক প্রস্তাবে যেমন রাজি হয়ে যান, ঠিক তেমনই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা দেখে বিরক্ত হয়ে যান বিরোধী দলের নেতারাও। রাজ্য সরকারের একের পর এক অন্যায়ের কাজে যখন বিরোধীরা সরব হচ্ছে, যখন রাজ্যের মানুষ অসন্তুষ্ট, তখন কেন রাজ্যপাল চুপ রয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় অনেক বিরোধী নেতাকে।

তবে বর্তমানে সেই রাজ্যপাল সরকারের সব কথায় গলছেন না। প্রথমদিকে হাতে খড়ি অনুষ্ঠান করিয়ে রাজ্যপালকে নিজের হাতে রাখার চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেসব এখন অতীত বলেই দাবি বিরোধীদের। তাই উপাচার্য নিয়ে যে সংঘাত তৈরি হয়েছে, তা আগামী দিন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। রাজ্যপালের একের পর এক পদক্ষেপ রীতিমত জেরবার করে দেবে নবান্নকে। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর এই বক্তব্যই উঠে আসছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে রীতিমত রাজ্যের চক্ষুশূল হয়েছেন রাজ্যপাল। তবে তাতে তার কিছু এসে যায় না। তিনি আইন অনুযায়ী কাজ করেছেন বলেই দাবি রাজভবনের। আর এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো সভা করে তৃণমূল শিক্ষাসেলের পক্ষ থেকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে অপমান করছেন। আর সেই বিষয়েই বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাল্টা রাজ্যকে ধুয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, তিনি বলেন, -“এই রাজ্যপাল মাটির মানুষ নন। রাজ্য সরকার চেয়েছিল তাকে হাতে রাখতে। কিন্তু তারা তা পারেনি। এই রাজ্যপাল অনেক নেতা, মন্ত্রীকে পকেটে নিয়ে ঘুরেছেন। তাই তাকে বোকা বানাতে এলে এই সরকার ভুল করবে। আর কারা অপমানের কথা বলছেন? মমতা ব্যানার্জি নিজে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের, বিরোধী নেতাদের কি ভাষায় কথা বলেন!”

বলা বাহুল্য, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রীতিমতো রাজ্য বনাম রাজভবনের মধ্যে যে সংঘাত তৈরি হয়েছে, তা শেষ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে শীর্ষ আদালতে। রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাজ্য সরকারের সব অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেবেন না। রাজ্য সরকার হয়তো প্রথম দিকে রাজ্যপালকে হাতে রাখার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা বিফলে গিয়েছে। তাই রাজ্যের সব অন্যায় কাজ যখন রাজ্যপাল মানছেন না, তখন তাকে অপমান করার রাস্তায় নেমে পড়েছে রাজ্য সরকার। তবে এসব করে যে কোনো লাভ হবে না, রাজ্যপাল যে তাদের সব কথা শুনবেন না এবং এই রাজ্যপাল যে অন্য ধাতুতে তৈরি, তা বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দিলীপ ঘোষ একদিক থেকে ঠিক কথাই বলেছেন‌। কারণ রাজ্য সরকার তো এতদিন রাজ্যপালকে যা নয় তাই ভাষায় আক্রমণ করেছেন। কিন্তু তারপরেও রাজ্যপাল নিজের পদক্ষেপ থেকে পিছিয়ে আসেননি। তিনি যদি চাইতেন, তাহলে এই সরকারের সঙ্গে এক টেবিলে বসে যেতে পারতেন। কিন্তু অন্যায্য দাবির সঙ্গে তিনি যে সহমত পোষণ করবেন না, তা স্পষ্ট। ফলে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তা ভবিষ্যতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আরও একাধিক বিষয় নিয়ে রাজভবনের সমস্যার কারণ হতে পারে। আর সাংবিধানিক প্রধানের পক্ষ থেকে যদি এই অবস্থানই বজায় রাখা হয়, তাহলে জেরবার হতে পারে মমতা সরকার। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!