এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ছাত্র সংসদের নির্বাচন এবার প্রেসিডেন্সিতে, জানালেন শিক্ষমন্ত্রী

ছাত্র সংসদের নির্বাচন এবার প্রেসিডেন্সিতে, জানালেন শিক্ষমন্ত্রী


একটা সময় ছাত্র রাজনীতি ঘিরে চায়ের চুমুকে তুফান চলত আড্ডায়। আজকের রাজনৈতিক মঞ্চ আলোকিত করা অনেক বড় বড় নেতানেত্রীরা এই ছাত্ররাজনীতি করার সুবাদে জনতার সামনে এসেছেন স্বমহিমায়। তবে যত দিন গড়িয়েছে, ছাত্র রাজনীতি কালিমালিপ্ত হয়েছে। ছাত্র রাজনীতির সূত্রে বর্তমানে বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর জুড়ে রাজনৈতিক হানাহানিতে অস্হির উঠেছিল। যার ফলে গত দু’বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রভোট বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু দু’বছর পর ছাত্রভোট আবার শুরু হতে চলেছে সরকারি হস্তক্ষেপে।

সরকারের তরফ থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ছাড়পত্র পেতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঠিক হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, 2019 এর জানুয়ারি মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে চলেছে।

গত সপ্তাহে রাজ্য সরকারের তরফে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী ও ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় এর জন্য। ইতিমধ্যে আগামী 14 ই নভেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে চলেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে, জানিয়েছেন সেখানকার কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ স্টুডেন্টদের সাথে আলোচনা না করে মিড সেমিস্টারের মধ্যে নির্বাচনের দিন পড়ায় যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সবারই নজর ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়। গতকাল বৈঠক শেষে ডিন অফ students’ রজত সাহা জানিয়েছেন, ‘আগামী জানুয়ারিতেই হবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। আগামী সপ্তাহে নির্বাচনী উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ভোটার তালিকা তৈরি, ভোটের দিনক্ষণ ও মনোনয়ন জমার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অক্টোবর মাসে ছাড়পত্র মেলার পরেও যাদবপুরে ছাত্রসংসদ ভোট নিয়ে এত দেরি প্রসঙ্গে রজত সাহা জানান, ‘আগামী ডিসেম্বরেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান। তাই তার আগে কোনো ভাবেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া যেত না। তাছাড়া অতীতেও জানুয়ারি মাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে একাধিক নজির রয়েছে যাদবপুরে। তাই আমরা সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাইছি।’

2016 সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রসংসদ ভোট বন্ধ করার পক্ষে। বদলে নতুন ছাত্র কাউন্সিল গঠিত হয়। এই কাউন্সিল এর নিয়ম অনুসারে ছাত্র সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন করবে প্রতিষ্ঠানের প্রধান।

তখন থেকেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কাউন্সিল মডেলকে ‘অগণতান্ত্রিক’ ঘোষণা করে বিরোধিতা করতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে শামিল হয় যাদবপুর, প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। রাজভবন থেকে বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয় সেই সময়‌। অবশেষে আড়াই বছর পর সরকারের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছাত্র সংসদ নির্বাচন এর সিদ্ধান্তে যদিও যাদবপুর, প্রেসিডেন্সিতে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হলেও এখনো পর্যন্ত রবীন্দ্রভারতী ও ডায়মন্ডহারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো কথা জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব শীঘ্রই নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যাপারে বৈঠক ডাকতে চলেছেন।

তবে ছাত্রভোট নিয়ে ইতিমধ্যে নানান বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, শুধুমাত্র কয়েকটি বাছা-বাছা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন নির্বাচন ঘোষণা করা হল এবং সব জায়গায় একসাথে কেন ছাত্রভোট হবেনা ? বিরোধীদলের দাবি, ছাত্র ভোটের মাধ্যমে শাসক সরকার আবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে। বিরোধীদলের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত শাসক দলের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি জারি করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, আগামী দিনের হতে চলা ছাত্রভোট এর দিকে নজর রেখে ইতিমধ্যে সমস্ত দলের ছাত্রবৃন্দ তৈরি হচ্ছে। এবং এই সমস্ত ঘটনার ওপর কড়া নজর রাখছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!