বিধানসভার আগে নেতাদের অভিমান ক্রমশ প্রবল হচ্ছে! পার্থর ডাকা বৈঠকে এলেনই না দুই হেভিওয়েট এমএলএ ! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য October 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। কিন্তু নতুন কমিটি ঘোষণা করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা হলেও কোনোমতেই অবস্থার উন্নতি হতে দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি কোচবিহার জেলার নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। কিন্তু তারপরেও একের পর এক নেতা সেই কমিটি নিয়ে বিদ্রোহ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। আর এবার কোচবিহার জেলা তৃনমূলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর জেলা সভাপতির ডাকা প্রথম সাধারণ সভায় অনুপস্থিত থাকলেন দুই তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং হিতেন বর্মন। স্বভাবতই প্রথম জেলা কমিটির বৈঠকে দুই তৃণমূল বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে এখন ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, কিছুদিন আগেই কোচবিহার জেলার নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে দেখা গেছে তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী, হিতেন বর্মন সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 10 অক্টোবর কোচবিহার জেলার নতুন কমিটি এবং ব্লক কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে নতুন জেলা কমিটিতে 13 জনকে সহ-সভাপতি, 14 জনকে সাধারণ সম্পাদক এবং আটজনকে সম্পাদক করা হয়। আর এরপরই সেই নতুন কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন জেলার একাধিক তৃনলের জনপ্রতিনিধি এবং নেতারা। তবে সেই সমস্যার সমাধান করতে কোচবিহারের সাহিত্যসভায় একটি বৈঠক ডেকেছেন নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়। সেই বৈঠকে দুই কো-অর্ডিনেটর, তুফানগঞ্জের বিধায়ক সহ অন্যান্য শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরা উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিনয় কৃষ্ণ বর্মন, মিহির গোস্বামী, হিতেন বর্মন এবং জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার মত হেভিওয়েট নেতারা। কিন্তু যে সমস্যা সমাধানের জন্য সকলকে এই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল, সেখানে বৈঠকে নেতারা অনুপস্থিত হওয়ায় তো আসল সমস্যা থেকেই যাবে! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেন তারা বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঘোষ করোনা আক্রান্ত। মন্ত্রিসভার কাজে বিনয়বাবু কলকাতায়। ব্যক্তিগত কাজে জগদীশবাবু কলকাতায়। তাই তারা আসেননি। মিহিরবাবুর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু ওনাকে পাইনি। হিতেনবাবু কেন এলেন না, পরে খোঁজ নিয়ে দেখব।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখে পার্থবাবু যে কথাই বলুন না কেন, জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রথম সাধারণ সভায় যেভাবে একাধিক বিধায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকলেন, তাতে এই জেলায় তৃণমূলের সমস্যা সমস্যাতেই থেকে যাবে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় ভালো ফল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তারপর তৃণমূল কংগ্রেস নতুন সংগঠন তৈরি করে এখানে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে। কিন্তু পার্থপ্রতিম রায়কে সভাপতি করার পরেও নানা বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর এবার সেই পার্থপ্রতিম রায়ের ডাকা সভায় যেভাবে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল একাধিক বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের, তাতে আগামী ভবিষ্যৎ অত্যন্ত তৃণমূলের পক্ষে জটিল হয়ে উঠতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -