এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনা আবহে বদলে গেছে অনেক কিছুই! এবার দুর্গাপুজো নিয়ে নজিরবিহীন পদক্ষেপের পথে তৃণমূল!

করোনা আবহে বদলে গেছে অনেক কিছুই! এবার দুর্গাপুজো নিয়ে নজিরবিহীন পদক্ষেপের পথে তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সেই মার্চ মাস থেকে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের দাপট। এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের দাপট কমেনি। তার মাঝেই বাংলার সবথেকে শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা আদৌ মহাসমারোহে পালন করা সম্ভব হবে কি না, তা সকলের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, দুর্গাপুজো অবশ্যই হবে। তবে সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে সেই উৎসবে শামিল হতে হবে। কিন্তু প্রতিবার দুর্গাপুজোয় জনসংযোগ করতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসকে। যেখানে পার্টি অফিসের সামনে বা রাস্তায় দলের স্টল নিয়ে বসেন তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা।

সেদিক থেকে এবার করোনা ভাইরাস থাকার কারণে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে সেই রকম কোনো স্টল হবে কিনা, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামনেই 2021 এর বিধানসভা। আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল যদি এই সুবর্ণ সুযোগ ছেড়ে দেয়, তাহলে তা অত্যন্ত লোকসানের কারণ হবে।   স্বাভাবিক    ভাবেই   এবার  পুজোয়  কিভাবে  সামাজিক  দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধিকে মান্যতা দিয়ে জনসংযোগ করা হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। প্রায় সকলেই এক সুরে বলছেন, পুজো অবশ্যই পালন হবে। কিন্তু সমস্ত রকম স্বাস্থ্য বিধি মেনেই তা পালন করতে হবে।

ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাড়ার ক্লাব বা পুজো মণ্ডপের সামনে কোনোরকম স্টল করা যাবে না। প্রতিবছর পূজা সংখ্যা সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই স্টল করে বিক্রি হয়। কিন্তু এবার সেই সমস্ত কিছু বন্ধ। কিন্তু যে শারদ উৎসবে তৃণমূলের জনসংযোগের অন্যতম মাধ্যম হয় এই স্টল, এবার যদি তা না থাকে, তাহলে কিভাবে তৃণমূল জনসংযোগ রক্ষা করবে? ইতিমধ্যেই ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে পুজোকে জনসংযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান করা হবে বলে জানা গেছে। তাই সেই জায়গায় প্রতিবছর তৃণমূল জনসংযোগ করলেও, এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে যদি তারা তা না করে, তাহলে তা তাদের কাছে অত্যন্ত বড় ধাক্কা হয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “দূর্গাপূজায় এমনিতেই মানুষ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি খারাপ। পুজো করা যাচ্ছে এটুকুই বাড়তি পাওনা। তা বলে বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখানো যাবে না। মানুষকে বুঝতে হবে, পরিস্থিতি যতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তত বেশি দিন আমরা ভালো থাকব।” এদিকে এই ব্যাপারে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আলাপ হবে, ছোট ছোট আড্ডা হবে। অঞ্জলি দেওয়া হবে। পুজো দেখা হবে। কিন্তু বিধি মেনে। যে নিয়ম মানলে মানুষ ভালো থাকে, সে নিয়ম মানতেই হবে।” প্রতিবছর দশমীর দিন কোলাকুলি করা হয়। এবার তা দূর থেকে হাত জোড় করেই সারা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল।

অন্যদিকে এবার পুজোয় সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বড় ভূমিকা থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের পুজোয় আর যাই হোক, তৃণমূল কংগ্রেস অন্তত সেভাবে জনসংযোগের কর্মসূচিতে যাচ্ছে না। অর্থাৎ প্রতি বছর তৃণমূল “জাগো বাংলা” স্টলের মধ্যে দিয়ে মানুষকে জনমুখী করার চেষ্টা করলেও, এবার মানুষের সুবিধার্থে যে তারা সেই পদ্ধতি অবলম্বন করছেন, তা তৃণমূল নেতারা এখন থেকেই বুঝিয়ে দিতে শুরু করেছেন। তবে সামনে যখন বিধানসভা নির্বাচন, তখন তৃণমূল এবারের শারদোৎসবে জনসংযোগ কর্মসূচি থেকে সরে আসায় তারা আদৌ কতটা লাভ করতে পারবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!