এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল >  ঈদের নামাজে গেলেও কেন রাম মন্দিরে নয়? সুকান্তর খোঁচায় দিশেহারা মমতা! সরব বিজেপি!

 ঈদের নামাজে গেলেও কেন রাম মন্দিরে নয়? সুকান্তর খোঁচায় দিশেহারা মমতা! সরব বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকবেন, তখন তার কাছে কেন কোনো একটি নির্দিষ্ট ধর্ম শুধু প্রাধান্য পাবে? কেন তিনি শুধুমাত্র ভোটব্যাংকের জন্য একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করবেন! আর বাকি ধর্ম সম্প্রদায় গুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, বিশেষ করে প্রশাসক যখন সেই সম্প্রদায়ের, তখন নিঃসন্দেহে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। রাম মন্দির যখন উদ্বোধন হচ্ছে, যখন তার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ, তখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার সেই দিন রাজ্যে ডেকে ফেলেছেন সংহতি মিছিলের। তার দল নাকি রাস্তায় নামবে! তিনি নাকি সেই মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন! খুব ভালো কথা। কিন্তু নিজে একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে হয়ে এত বড় হিন্দুদের কর্মযজ্ঞে সামিল না হয়ে কেন অযথা এটা নিয়ে এত জলঘোলা করছেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর সেই বিষয় নিয়েই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে বড় প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়ে গেল বিজেপি। এদিন এমন এক প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, যার ফলে তৃণমূল নেত্রী তো বটেই, গোটা তৃণমূল দল রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এদিন মুর্শিদাবাদের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বড় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ঈদের নামাজে যেতে পারেন, কিন্তু রাম মন্দির উদ্বোধনে যেতে পারেন না। ওনাকে জিজ্ঞেস করুন, উনি কেন রাম মন্দির উদ্বোধনে যাচ্ছেন না?” একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সব থেকে আগে হচ্ছে ভোটব্যাঙ্ক। পশ্চিমবঙ্গে কিছু নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তিনি তোষন করবেন, তাদেরকে খুশি রাখবেন। আর তার ভোটব্যাংকের মাধ্যমে তিনি বারবার ক্ষমতা দখল করে থাকবেন, এটাই তার চাহিদা এবং উদ্দেশ্য। আর সেটা করতে গিয়ে তিনি বারবার হিন্দু সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল হয়ে যাচ্ছেন। বারবার নিজের কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, তিনি মুখেই সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে দুধেল গাইদের খুশি করতে সবথেকে বেশি তৎপর বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা বলতে কিছু নেই। দেশে এত বড় একটা মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে জনতা জনার্দন, কিন্তু কেউ কেউ হিংসায় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছেন। প্রশাসক হিসেবে তো বটেই, অন্তত হিন্দু ধর্মের একজন মানুষ হিসেবে তো মুখ্যমন্ত্রীর এই বড় কর্মযজ্ঞে শামিল হওয়া উচিত। কিন্তু সব জায়গায় তিনি বিজেপির ভূত দেখছেন বলেই আজকে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এই রাম মন্দির উদ্বোধনে যাচ্ছেন না। তবে নিজের ধর্মের প্রতি তার এই অবহেলা মূলক মনোভাবের বিরুদ্ধে আগামী দিনে মানুষ জবাব দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যত দিন যাচ্ছে, ততই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ন্যাকামো মুখোশ খুলে যাচ্ছে। তিনি ভেবেছিলেন, তিনি শুধু তার একটি সম্প্রদায়কে আলালের ঘরের দুলাল করে রাখবেন, তাদেরকে সব সুযোগ সুবিধা দেবেন, আর সবাই বোকা। সবাই চুপ করে থাকবে। কিন্তু মানুষ জাগতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের সনাতনীরা যে এই রাজ্যে সুরক্ষিত নয়, তা বুঝতে শুরু করেছেন। তাই এই বাংলার বুকে সাধুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পরেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মাঠে নেমেছে। আর রাম মন্দির উদ্বোধনের অপেক্ষায় যখন গোটা দেশ, তখন মুখ্যমন্ত্রীর সেখানে সামিল না হওয়া ঘিরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। বোঝা যাচ্ছে যে, ভোটব্যাংক ছাড়া এবং ক্ষমতার আস্বাদন করা ছাড়া এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর কিছুই বোঝেন না। তাই ঈদের নামাজে গেলেও তিনি রাম মন্দির উদ্বোধনে যেতে পারছেন না। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!