এত হিংসা মমতার! রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনেই সর্বনাশা সিদ্ধান্ত! সোচ্চার বিজেপি! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 17, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-নিজেকে আর কত হিন্দু বিরোধীতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরবেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান? তিনি নিজে থেকেই এই সমস্ত কান্ড কলাপ করছেন, নাকি তাকে কেউ পরামর্শ দিচ্ছে, তা সত্যিই বোঝা যাচ্ছে না। তবে জেনে বুঝে অন্তত সুস্থ, স্বাভাবিক মস্তিষ্ক নিয়ে কেউ এই ধরনের বিপদ ডেকে আনেন না। বিরোধীরা অন্তত তেমনটাই বলছেন। কিন্তু কি এমন করলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? সবাই জানেন আগামী 22 জানুয়ারি বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে। যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, যারা রাষ্ট্রবাদী জনসাধারণ, তারা সকলেই অকাল দীপাবলি পালনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। কিন্তু সেই সময় রাম মন্দির উদ্বোধনের মত এত বড় কর্মসূচিতে শামিল না হয়ে পশ্চিমবাংলার মাটিতে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলের ব্যানারে ডেকে ফেললেন সংহতি মিছিলের। এদিন নিজেই সেই কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন যে, এসবের কি দরকার ছিল? তিনি কি নিজেই নিজের প্রতিচ্ছবিতে হিন্দু বিরোধী তকমা সেঁটে দিচ্ছেন না? প্রসঙ্গত, এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে 22 জানুয়ারি তিনি দলের কর্মসূচি করবেন বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, সমস্ত ধর্মের, সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে তিনি রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনে এই কর্মসূচি করবেন। তবে এক্ষেত্রে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আবার এটাও বলেন যে, তিনি কারওর কোনো পাল্টা কর্মসূচি করছেন না। 23 জানুয়ারি নেতাজি জন্ম জয়ন্তী রয়েছে, তার আগের দিন তিনি এই কর্মসূচি পালন করছেন সর্বধর্ম সমন্বয়ের জন্য। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন যে, অতীতে তো কোনোদিন এই 22 জানুয়ারি এরকম কোনো কর্মসূচি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের দলের ব্যানারে করতে দেখা যায়নি। তিনি যতই মানুষকে ভুল বোঝান না কেন, মানুষ কিন্তু জানে, তিনি রাম মন্দির উদ্বোধনের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবেই পশ্চিমবাংলার মাটিতে নিজের দলকে রাস্তায় নামাচ্ছেন। ব্লকে ব্লকে জেলায় জেলায় সেদিন যদি তৃণমূলের এই মিছিলকে কেন্দ্র করে কোনোরূপ অশান্তি তৈরি হয়, তাহলে তার দায় নিতে পারবেন তো এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান? খুব কি প্রয়োজন ছিল, সেই দিন এইরকম কর্মসূচি করার! এসব তিনি যত করছেন, ততই তিনি হিন্দু সনাতনীদের কাছে চক্ষুশূল হয়ে উঠছেন বলেই দাবি একাংশের। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিংসায় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছেন। রাম মন্দির উদ্বোধনকে তিনি কোনোমতেই সহ্য করতে পারছেন না। তাই পাল্টা প্রচার পাওয়ার জন্য সেই দিন বাংলায় এই সমস্ত মিছিলের আয়োজন করলেন। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না। তিনি বরঞ্চ এই সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি করে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন। পশ্চিমবাংলার সনাতনী সমাজ তার নাটক ধরে ফেলেছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি সত্যিই প্রশাসকের মত আচরণ করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে প্রথম কথা নবান্ন থেকে তিনি এই ঘোষণা করতে পারতেন না। আর দ্বিতীয় কথা, নিজের দলকেও তিনি সেদিন রাম মন্দির উদ্বোধনের এই কর্মসূচিতে শামিল হওয়ার বার্তা দিতেন। কিন্তু সেসব না করে পাল্টা কর্মসূচি করে সংহতি মিছিলের আয়োজন করে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরও বেশি করে হিন্দু বিরোধী একটা ভাবমূর্তি সামনে আনার চেষ্টা করলেন। যার ফলে আগামী দিন চরম মাশুল দিতে হতে পারে নবান্নকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -