এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ক্ষমতার ভরকেন্দ্র হারাচ্ছেন মমতা! অধিকার ছিনিয়ে নিতে আদালতে হেভিওয়েট!

ক্ষমতার ভরকেন্দ্র হারাচ্ছেন মমতা! অধিকার ছিনিয়ে নিতে আদালতে হেভিওয়েট!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তৃণমূল এমন একটা ভাব দেখায় যেন, একুশে জুলাই তারা ধর্মতলায় যে জায়গায় সভা করে, সেটা তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। তারা ছাড়া আর কেউ সেখানে সভা করতে পারবে না। কিন্তু কিছুদিন আগেই বিজেপি সেই জায়গায় সভা করে আদালতের থেকে অনুমতি নিয়ে এই তৃণমূলকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, সব জায়গায় গা জোয়ারি করার ফল ভালো হয় না। আর এবার পুলিশের তরফ থেকে অনুমতি না পেয়ে ধর্মতলায় সেই একই জায়গায় সভা করার ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হল আইএসএফ। ইতিমধ্যেই আদালতের তরফ থেকে মামলা করার ব্যাপারে অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, ধর্মতলায় এতদিন শুধুমাত্র তাদের সভা করার অধিকার ছিল বলে তৃণমূল নেতারা যে সমস্ত ভাব দেখাতেন, এবার সেই জারিজুড়ি শেষের পথে। বিজেপি সভা করে একটা পথ দেখিয়েছিল। আর এবার সেই পথে হেঁটে আইএসএফ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে এই তৃণমূলের মুখে ঝামা ঘষে দিল।

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিরোধী দল সভা করার অনুভূতি পাবে, সেটা ভাবাটাই একটা আশ্চর্য বিষয়। কারণ এই রাজ্যের প্রশাসন তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে। এটা আজকে নতুন করে বলতে হবে না। কিন্তু তারা আবার কোনো কোনো জায়গাকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে মনে করে। যার মধ্যে অন্যতম ধর্মতলার চত্বর। যেখানে বরাবর তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশের নামে নাচ, গান হয়। যাই হোক, সেসব পরের কথা। কিন্তু সেই জায়গায় সভা করতে চেয়ে আইএসএফ তাদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি না দেওয়ার পরেই তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। অনেকে বলছেন, যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আবার আদালত থেকে একটা বড়সড় থাপ্পড় খাবে এই রাজ্যের প্রশাসন এবং তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির মত আইএসএফকেও এই এলাকায় সভা করার অনুমতি দিয়ে আদালত বুঝিয়ে দেবে যে, আইনের শাসন এখনও অটুট রয়েছে এই রাজ্যে।

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনকে নিজেদের দলদাসে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এলাকাকেকেও এখন কিনে নিতে শুরু করেছে এই সরকার। কিন্তু এভাবে কোনো কিছু চলে না। যেভাবে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে রাজ্যের মানুষ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে জাগতে শুরু করেছে। ধর্মতলা চত্বরে শুধু তাদের সভা করার অধিকার আছে, এটা যেন ভুলে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী দিনে আদালত এই রাজ্যকে পথ দেখাবে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে আদালত যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তা সত্যিই স্যালুট জানানোর মত। তবে এই প্রশাসনকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে হলে আদালতকে আরও বেশ কিছু জায়গায় হস্তক্ষেপ করতেই হবে। তা না হলে এই নির্লজ্জ প্রশাসনের শিক্ষা হবে না। এমনিতেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে আদালতের কাছ থেকে কানমোলা খাচ্ছে এই সরকার। কিন্তু তারপরেও তাদের লজ্জা হচ্ছে না। তাই ধর্মতলার মত জায়গায় আইএসএফ সভা করতে চাইলেও, তাদেরকে আটকানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ব্যাপারে আদালত কি নির্দেশ দেয়, সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে সকলের। তবে প্রশাসনের একুশে আইনকে উপেক্ষা করে বিরোধীরা যে ক্রমাগত আদালত থেকে জয় নিয়ে আসছে এবং তাদের শেষ ভরসা যে হয়ে উঠেছে বিচারব্যবস্থা, তা যতদিন যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে। তাই ক্ষমতার দম্ভে অহংকারী না হয়ে এবার অন্তত পথে আসুন প্রশাসনিক প্রধান। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!