বাংলার জন্য চরম লজ্জা, কবে ঘুম ভাঙবে মমতার? গর্জে উঠলেন শুভেন্দু! বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 16, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন শাসকের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাদের পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হত। কিন্তু শুধু প্রতিবাদীরা নয়, এবার পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে আক্রান্ত সাধু সন্ন্যাসীরাও। সম্প্রতি পুরুলিয়ার মাটিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটার পর রীতিমত হতবাক হিন্দু সনাতনীরা। তাই বাধ্য হয়েই আজ তারা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ব্যানারে পথে নেমেছে। আর সেই বিষয় নিয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বাংলায় কি পরিমান বিপদের মুখে রয়েছেন হিন্দু সনাতনীরা, তার ব্যাখ্যা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবাংলার জন্য যে এই দিন চরম লজ্জার, তাও জানিয়ে দিলেন তিনি। সত্যিই তো তাই, বাংলায় এমনিতেই প্রতিবাদীরা নিজেদের প্রতিবাদ করতে পারে না। আর সেই সময় দাঁড়িয়ে ধর্মকর্ম করার জন্য সাধু সন্ন্যাসীরাও বাংলায় আসতে পারবে না, এটা কি ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সরকার? তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও একবার সেই বিষয় নিয়ে সোচ্চার হয়ে যে কথা বললেন, তাতে চরম বিপাকে পড়ে গেল তৃণমূল সরকার। প্রসঙ্গত, এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি এই কর্মসূচি নিয়ে জানি। আমার মনে হয়, যে সমস্ত মানুষ কলকাতায় আছেন, সেই সব প্রতিবাদী মানুষদের আজকে রাস্তায় নামা উচিত। আজকে বাংলায় গেরুয়া রং আক্রান্ত হচ্ছে। সাধু সন্ন্যাসীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এখানে সনাতনীরা বিপদের মুখে রয়েছে। এই লজ্জা আমরা কোথায় রাখব?” অনেকে বলছেন, গেরুয়া রং দেখলেই এই রাজ্যের সরকার এবং তাদের পোষা গুন্ডারা ঠিক থাকতে পারেন না। তারা ভাবে, সব গেরুয়া রং বুঝি বিজেপির রং। তাই সাধু সন্ন্যাসীরা বছরের পর বছর ধরে, যুগের পর যুগ ধরে যে গেরুয়া রং ব্যবহার করে আসছেন, যে পোশাক ত্যাগের প্রতীক, সেই পোশাক দেখলেও তারা আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা কিছু সাধু যেভাবে বাংলার মাটিতে হেনস্থা হয়েছেন, যেভাবে পুলিশের লাঠির বাড়ি তাদের গায়ে পড়েছে, তাতে চরম লজ্জিত পশ্চিমবাংলার হিন্দু সনাতনীরা। তাই একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করতে গিয়ে এই বাংলার বুকে যেভাবে হিন্দুদের বিপদে ফেলছে এই রাজ্য সরকার, তাতে চিন্তায় রয়েছেন সকলে। তাই যখন সাধুরা পথে নামছেন, তখন প্রতিবাদকে জোরালো করতে তাদের সঙ্গ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, হিন্দু সম্প্রদায়কে প্রতিমুহূর্তে চ্যালেঞ্জ করছে এই রাজ্যের সরকার। আজকে সনাতনীরা বাংলার মাটিতে সুরক্ষিত নয়। তাই নিজেদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের দাবিতে তারা পথে নেমেছে। আগামী দিনে এই সরকারের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে আওয়াজ তুলতে হবে। গণতন্ত্র হত্যার পাশাপাশি সনাতনী সমাজকে ধ্বংস করতে চাইছে এই রাজ্যের সরকার। তাই তাদের মুখোশ খুলে দিয়ে হিন্দু সমাজকে জাগ্রত হতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় ধর্ম নিয়ে এত বিবাদ, এত তোষণ এর আগে ছিল না। তৃণমূল সরকারের আমলে যা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আসলে সব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এই সরকারের দ্বারা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করার কারণে। যার ফলে হিন্দু সম্প্রদায় এই বাংলার মাটিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। কিন্তু যে হিন্দু ধর্ম সংহতির কথা বলে, অপর ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কথা বলে, সেই হিন্দুরাই যদি বিপদের মুখে পড়ে, তাহলে সনাতনী সমাজ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাই তাদেরকে বাঁচাতে হবে। ভোটব্যাংকের জন্য এই তৃণমূল সরকার যে সর্বনাশা কান্ড করছে, তার মুখোশ খুলে দিতে হবে সনাতনীদেরকেই। স্বাভাবিক ভাবেই আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যেভাবে পথে নেমেছে, তাতে রাজ্যের সাধারণ মানুষ, রাজ্যের সনাতনী ধর্মে বিশ্বাস করা জনসাধারণকেও এই আন্দোলনের সঙ্গে সামিল হতে হবে। আর তাহলেই এই সরকারের ঘুম ভাঙবে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -