এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাহুল গান্ধীর কি শিক্ষা, রামকে চূড়ান্ত অপমান! তুলোধোনা বিজেপির!

রাহুল গান্ধীর কি শিক্ষা, রামকে চূড়ান্ত অপমান! তুলোধোনা বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে এমন সব কথা বলে ফেলছেন বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা, যার ফলে বোঝা যাচ্ছে যে, তারা সাধারণ মানুষের বিরোধিতা করছেন। আসলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি যখন পূরণ করছে, তখন বিরোধীরা দিশেহারা হয়ে যাচ্ছেন। তাই তারা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রেখেই চলেছেন। এদিন তেমনই এক বক্তব্য রেখে চরম বিতর্কের মুখে পড়ে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আগামী 22 জানুয়ারি দেশে উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। দেশের আপামর হিন্দু সনাতনীরা অপেক্ষায় ছিলেন, কবে এই দিন আসবে। স্বাভাবিকভাবেই সকলেই খুশি। সকলেই অকাল দীপাবলীর আনন্দে মেতে উঠবেন। কিন্তু সেই সময় রাহুল গান্ধী এই অনুষ্ঠানের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এমন একটি মন্তব্য করে বসলেন, যার ফলে রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন সেই সনাতনী সমাজ। অনেকের প্রশ্ন, এ কোন শিক্ষা দীক্ষা গ্রহণ করেছেন গান্ধী পরিবারের এই সদস্য? দেশে যখন এত বড় একটা কাজ হচ্ছে, তখন তাদের এত গা জ্বালা কেন?

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত জোড়ো যাত্রায় রয়েছেন কংগ্রেস নেতার রাহুল গান্ধী। তবে এদিন সাংবাদিকরা তাকে রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি এক আজব প্রতিক্রিয়া দেন। রাহুল গান্ধী বলেন, “22 জানুয়ারির অনুষ্ঠান আরএসএস বিজেপির অনুষ্ঠান।” আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন যে, কোন অধিকার বলে এই কথা বললেন রাহুল গান্ধী? হয় তিনি এই কথা বলে বোঝাতে চাইলেন যে, হিন্দুদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই, হিন্দু সনাতনীদের তিনি ভালোবাসেন না! আর তা না হলে নরেন্দ্র মোদী বা বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার যখন এই রাম মন্দির উদ্বোধন করে হিন্দু সম্প্রদায়কে খুশি রাখছে, তখন তাদের গা জ্বালা হচ্ছে। তাই তিনি এই অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেন। কিন্তু যে কথা এদিন রাহুল গান্ধী বললেন, তারপর অন্তত সনাতনীরা তাকে তো বটেই, তার দলের দিকেও আর মুখ ফিরিয়ে তাকাবে না। তারা এই মন্তব্যের পর যথেষ্ট ব্যথিত। কেননা বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার কেউ বলেনি যে, তারা এই রাম মন্দির উদ্বোধন করে নিজেরা ক্রেডিট নিচ্ছে। বরঞ্চ এই রাম মন্দির যে উদ্বোধন হচ্ছে, এর ফলে দেশের মানুষের বহুদিনের প্রতীক্ষিত আশা পূর্ণতা পাচ্ছে এবং সকলের এতে সামিল হওয়া উচিত, এমনটাই বলছে বিজেপি। কিন্তু তারপরেও রাহুল গান্ধীর এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই অনভিপ্রেত এবং হিংসাত্মক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলেই দাবি করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, দেশের উন্নতি হোক, এটা চায় না কংগ্রেস। তাই রাম মন্দির উদ্বোধনের কারণেই হিংসায় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে তারা। রাহুল গান্ধীর কথার মধ্যে দিয়ে আরও একবার তা স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে এসব করে হিন্দু সনাতনীদের আবেগে আঘাত দিচ্ছে কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলো। আগামী দিনে ভোটবাক্সে দেশের জনতা এদের মুখের মত জবাব দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, সব জায়গায় রাজনীতি করতে গেলে এমনটাই হয়। রাহুল গান্ধী এবং বিরোধী নেতারা এখন হালে পানি পাচ্ছেন না। তাই যেভাবেই হোক, বিজেপির বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে শুরু করছেন তারা। কিন্তু রাম মন্দির নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী যে কথা বললেন, তাতে বোঝা গেল যে, কংগ্রেসের রুচি কতটা নিম্নরুচির। তা না হলে এত বড় একটা কর্মযজ্ঞকে তারা কোনোদিন বিজেপির বা আরএসএসের বলে খাটো করতে পারতেন না। তবে অনেকে আবার বলছেন, রাহুল গান্ধী ঠিক কথাই বলেছেন। তাদের দল বা তারা যে ইন্ডি জোট গঠন করেছেন, সেই দলের কোন নেতা-নেত্রীরা তো হিন্দু ধর্মের জন্য কোনো কিছু করেননি। বর্তমান বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার যে কাজ করেছে, তা দেখে তাদের গায়ে জ্বালা হচ্ছে জন্যই সেটাকে চেপে রাখতে না পেরে রাম মন্দির নিয়ে এখন হিংসা করা শুরু করেছেন। তবে এত নিম্নরুচির মন্তব্য রাহুল গান্ধীর মত ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে সত্যিই অভিপ্রেত ছিল না দেশের মানুষের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!