প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যে হিন্দু সনাতনীরা বিন্দুমাত্র নিরাপদ নয়। এতদিন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। কিন্তু এবার একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করে তাদের ভোট পাওয়ার জন্য ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতা থেকে শুরু করে এই রাজ্যের প্রশাসন। যে কারণে উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা সাধুদের আক্রান্ত হতে হয় এই বাংলার মাটিতে। দেশের মানুষ যখন অযোধ্যায় রাম মন্দির কবে উদ্বোধন হবে, তার অপেক্ষায় রয়েছেন, যখন ঘরে ঘরে অকাল দীপাবলি পালন করার প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে, তখন বাংলায় দেখা যায় যে, হিন্দু সনাতনীদের কি চরম দুরাবস্থা। আর এর জন্য যে প্রবল ভাবে দায়ী এই সরকারের ফ্যাসিস্ট আচরণ, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই বিরোধীদের মধ্যে। কিন্তু এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের সনাতনী সমাজ বিপদের মুখে পড়বে। তাই তাদেরকে রক্ষা করতে এবার পথে নামল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এদিন কলকাতার রাজপথে সাধু-সন্তদের নিয়ে একটি মিছিল শুরু হয়েছে। আর সেখানেই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করেছে আওয়াজ।

প্রসঙ্গত, আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে কলকাতার রাজপথে সাধু সন্তদের নিয়ে একটি মিছিল বের করা হয়। যেখানে মেট্রো চ্যানেলে গিয়ে এই মিছিল শেষ হবে। আর তারপরেই একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তাদের ডেপুটেশন জমা দেবে বলে খবর। মূলত পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত কিছু সন্ন্যাসী আক্রান্ত হয়েছেন, যেভাবে তাদেরকে হেনস্থা করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধেই সনাতনী সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হিন্দু সন্ন্যাসীরা পথে নেমেছেন। অনেকে বলছেন, বাংলায় একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করতে গিয়ে হিন্দু সমাজকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই নিজের ধর্মকে বাঁচানোর জন্য সনাতনীদের এক ছাতার তলায় আসার বড়ই প্রয়োজন। এই মিছিলের অনেক আগে প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তাও বর্তমান সময়ে যেভাবে সাধু সন্ন্যাসীরা রাস্তায় নেমেছেন এই প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে হিন্দু সমাজকে জাগ্রত করতে, তাতে চরম বিপদের মুখে পড়তে হবে নবান্নকে বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, বাংলার সনাতনীরা এখন সংকটের মুখে রয়েছে। তাই তাদেরকে বাঁচানোর জন্য সকলের পথে নামা প্রয়োজন। যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, তারা নিজেদের ধর্ম রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন। ধর্ম না থাকলে কিছুই থাকবে না। এই সরকার যেভাবে একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করে অন্য সম্প্রদায়কে বিপাকে ফেলছে, তাতে এদের বিরুদ্ধে জেগে ওঠা প্রয়োজন। তাই আজকে যেভাবে সন্ন্যাসীরা রাস্তায় নেমেছেন, আগামী দিনে হিন্দু ধর্মকে চ্যালেঞ্জ জানানোর আগে এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সরকারের মাথায় যিনি রয়েছেন, তিনি নিজেও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু তারপরেও শুধুমাত্র ভোটব্যাংককে প্রাধান্য দিয়ে তিনি অন্য একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করে হিন্দুদের আচার অনুষ্ঠান সবকিছুতে আঘাত করছেন। অনেকদিন ধরেই সাধু সন্ন্যাসীদের মনে এই সরকারকে নিয়ে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এই রাজ্যের হিন্দু সনাতনীরা নিরাপদ নয়। তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরকেই বেছে নিতে হবে। এক্ষেত্রে একমাত্র উপায় পথে নেমে আন্দোলন করা। তাই সেই হাতিয়ারকে বেছে নিয়েই নিজেদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে পড়লেন সাধু সন্ন্যাসীরা। স্বাভাবিক ভাবেই ধর্মের জন্য যে লড়াই এবার শুরু করলেন সনাতনীরা, তাতে প্রবল ফ্যাসাদে পড়বেন এই সরকার এবং এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।