এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর টনিকেই ধরা পড়বে শাহজাহান! কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবিতে উঠছে আওয়াজ!

শুভেন্দুর টনিকেই ধরা পড়বে শাহজাহান! কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবিতে উঠছে আওয়াজ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের ওপর হামলা হওয়ার পর প্রায় 10 দিনের ওপর বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করার সম্ভব হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই সর্বত্র পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হয়েই দাবি করা হচ্ছে যে, পুলিশ সবটাই জানে। শাহজাহান তাদের হাতের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ছেড়ে রেখেছে। ইতিমধ্যেই আদালতের পক্ষ থেকেও এই ব্যাপারে তোলা হয়েছে প্রশ্ন। আর এবার রাজ্য পুলিশকে দিয়ে যে কিছু হবে না, এক্ষেত্রে শাহাজাহানকে ধরতে গেলে যে দরকার কেন্দ্রীয় এজেন্সির, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে আদালতের উদ্দেশ্যে বড় বার্তা দিতে দেখা গেল তাকে। কোথায় গলদ, কেন শেখ শাহাজাহান ধরা পড়ছে না, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি মূল বিষয়টি সামনে আনলেন। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই গোটা ঘটনার তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তাহলেই তারা কি করে, তারা আদৌ শেখ শাহাজাহানকে ধরতে পারে কিনা, সেটার জন্য এজেন্সিকে একটা সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন শেখ শাহজাহানকে নিয়ে আরও একবার শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “শেখ শাহজাহানকে পুলিশ ধরতে পারবে না। কারণ পুলিশ সবটাই জানে। তবুও ধরবে না তাই এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দায়িত্ব দিতে হবে। আদালতের উচিত সিবিআই বা এনআইএকে দায়িত্ব দেওয়া। তাহলেই তারা শেখ শাহজাহানকে খুঁজে আনতে পারবে। তা না হলে এ অধরাই থেকে যাবে।” একাংশ বলছেন, শেখ শাহজাহান তৃণমূল দলের সম্পদ। তাই তাকে রক্ষা করতে জানপ্রাণ লাগিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত তাকে যাতে আড়াল করে রাখা যায়, তাকে যাতে বাঁচানো যায়, তার জন্য পুলিশ সবটা জানা সত্ত্বেও গ্রেফতার করছে না। আর এমন ভাবে চলতে থাকলে জীবনে শেখ শাহজাহান গ্রেপ্তার হবে না। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপরে এই হামলার ঘটনায় আদালতকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি সত্যিই শেখ শাহাজাহানকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হয়, তাহলে দায়িত্ব দিতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। আর কেন্দ্রীয় সংস্থা যদি দায়িত্ব পায়, তাহলে তারা বুঝিয়ে দেবে যে, রাজ্য পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবেই এতদিন ধরে এই শাহজাহানকে ছেড়ে রেখেছিল বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, এই পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারি আশা করাই বৃথা। কারণ আজকে পুলিশ সম্পূর্ণরূপে অপরাধী এবং অভিযুক্তদের পক্ষ অবলম্বন করে। তাই আদালতকে এইদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। শেখ শাহজাহানকে কি করে গর্ত থেকে বের করে আনতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাই তাদেরকে দায়িত্ব দিলে শেখ শাহাজাহান ধরা পড়বে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের ভেতরের খবর খুব ভালো মত জানেন। তিনি জানেন, কোন তৃণমূল নেতা কোথায় কি কাজের সঙ্গে যুক্ত। কারণ তিনি দীর্ঘদিন এই দলের সঙ্গে থেকেছেন। তাই শেখ শাহজাহানকে নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, তখন শুভেন্দু অধিকারী বারবার করে জানিয়ে দিচ্ছেন যে, পুলিশের দ্বারা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে না। কারণ পুলিশ সবকিছু জানা সত্ত্বেও ওপরতলার নির্দেশের কারণে শেখ শাহাজাহানকে ছেড়ে রেখেছে। এক্ষেত্রে সাহসিকতা অবলম্বন করে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবে একমাত্র কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাই আদালতকে যদি দুষ্টের দমন করতে হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে শেখ শাহাজাহানকে ঘাড় ধরে জেলের ভেতরে ঢোকাতে হবে। কারণ এভাবেই যদি দিনের পর দিন চলে যায়, তাহলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভেঙে যেতে পারে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!