এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রামের নামে সুনামি, অপেক্ষায় গোটা দেশ! মমতাদের ঘুম কাড়লেন শুভেন্দু!

রামের নামে সুনামি, অপেক্ষায় গোটা দেশ! মমতাদের ঘুম কাড়লেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-গোটা দেশ অপেক্ষায় রয়েছে 22 জানুয়ারি কবে আসবে এবং কবে উদ্বোধন হবে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের! বহু লড়াই সংঘর্ষের পর, বহু পরিশ্রমের পর উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দির। অকাল দীপাবলীর অপেক্ষায় গোটা দেশের মানুষ। কিন্তু তার মধ্যেই কেউ কেউ আবার কিভাবে রাম মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অনেক শঙ্করাচার্য আবার বিরোধীদের হয়ে কথা বলতে গিয়ে রাজনৈতিক কথাবার্তা বলে ফেলছেন এই রাম মন্দির উদ্বোধনের বিষয়ে। তবে এসব করে লাভের লাভ কিছু হবে না। বিরোধীরা যে শঙ্করাচার্যকে সামনে রেখেই রাম মন্দিরের বিরোধিতা করার চেষ্টা করুন না কেন, দেশের মানুষ কার্যত একত্রিত রয়েছে সনাতনী ধর্মকে রক্ষা করার জন্য। তাই রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে তারা কোনো বাঁকা কথা শুনতে নারাজ। স্বভাবতই রাহুল গান্ধী বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা যদি ভেবে নেন যে, তারা এই উদ্বোধনে উপস্থিত হবেন না বা এর শরিক হবেন না, আর তাতে সবাই এই রাম মন্দিরের বিরোধিতা করবে, তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তারপর মনে করা হচ্ছে যে, 22 জানুয়ারি এই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা যারা অযথা বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে রাম মন্দিরের বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন, তাদের কাছে আসতে চলেছে একটা বড়সড় ধাক্কা।

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে কিছু বলেই লাভ হবে না। 22 জানুয়ারি রামের নামে সুনামি হবে দেশে। আমপান দেখেছি, এবার রাম মন্দিরের দিন সুনামি দেখব।” অনেকে বলছেন, তৃণমূল হোক বা সিপিএম হোক, যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, তারা নিজের ধর্মকে সব থেকে বেশি ভালোবাসেন। আর অপর ধর্মকে শ্রদ্ধা করেন। তাই দীর্ঘ লড়াইয়ের পর, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যখন রাম মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে, তখন সকলেই রাজনৈতিক বাছবিচার না করে ধর্মকে রক্ষা করতে রামের ভজনা করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই নিজের ধর্ম রক্ষার জন্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা যদি শুধুমাত্র বিরোধীতাই করে যান আর ধর্ম রক্ষার কথাটি ভুলে যান, তাহলে তারাই চাপে পড়বেন। কিন্তু যারা সাধারণ মানুষ আছেন, যারা বিরোধী দলের নেতা কর্মীরাও আছেন, তারাও সেদিন প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভগবান রামকে শ্রদ্ধা করে অযোধ্যার উদ্দেশে পঞ্চ প্রদীপ ঘরে ঘরে জ্বালাবেন। আর এতেই বোঝা যাবে যে, হিন্দু সনাতনীদের কত জোর। ঠিক সেটাই শুভেন্দু অধিকারী বোঝাতে চেয়েছেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, রাম শুধু নির্দিষ্ট কারওর নয়, যারা এখন এই রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়েও বিরোধিতা করছেন, বোঝাই যাচ্ছে, তারা ভোটব্যাংকের রাজনীতি করছেন। হিন্দুদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা পূরণ হতে চলেছে দেশে। আর সেই সময় অযথা রাজনীতি না করে অযোধ্যায় এই পুণ্য দিনের সাক্ষী হওয়া উচিত সকলের। যারা এই রাম মন্দিরের বিরোধিতা করবেন, তারা নিজেরাই নিজেদের জালে জড়িয়ে যাবেন। ভবিষ্যতে এই সমস্ত বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীকে চিহ্নিত করবে দেশের মানুষ। আর তারা ভোটব্যাংক রক্ষা করতে গিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়বেন। যার প্রতিফলন হবে ভোটবাক্সে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষন করা কার্যত স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল সরকারের কাছে। যে কারণে বাংলায় কিছুদিন আগেই অন্য রাজ্য থেকে আসা সাধুরা আক্রান্ত হয়েছেন। হিন্দুদের প্রতিমুহূর্তে এই রাজ্যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে বাংলার মানুষ যে অযোধ্যার সঙ্গে রয়েছেন, রাম মন্দির উদ্বোধনের শুভ মুহূর্তের সাক্ষী হতে চান, তার টের আগামী 22 জানুয়ারি হাতেনাতে পেয়ে যাবেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। রাম ভক্তের সংখ্যা কত এবং তা যে আর কিছুদিনের মধ্যেই সুনামি আকারে আছড়ে পড়তে চলেছে সনাতনী সংস্কৃতির এই ভারতবর্ষে, তা স্পষ্ট হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!