এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মার খাওয়ার দিন শেষ, হিসেব কষছে বিজেপি! ক্ষমতায় এলেই মোক্ষম জবাব!

মার খাওয়ার দিন শেষ, হিসেব কষছে বিজেপি! ক্ষমতায় এলেই মোক্ষম জবাব!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখে অনেক বড় বড় কথা বলেন। গণতন্ত্র রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসার প্রথম দিন থেকেই তিনি মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা থেকে শুরু করে গণতন্ত্র রক্ষা করা, সবকিছুতেই বাধাদান করে এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়। ভোটের আগে এবং পরে সন্ত্রাস হওয়ার কারণে বিরোধী দলের অনেকে ঘরছাড়া। বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীরা সভা, সমিতি করতে গেলেই একদিকে পুলিশ এবং অন্যদিকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হতে হয় কর্মীদের। তবে শুধুমাত্র পড়ে পড়ে মার খাওয়ার দিন শেষ। এবার পাল্টা জবাব দেওয়ার পালা তৃণমূল যে বিজেপিকে দেখে ভয় পাচ্ছে, এটা নতুন করে বলতে হবে না। কিন্তু সব সময় সব দিন শাসকের পক্ষে থাকে না। আজকে যে শাসক, কালকে সে ক্ষমতায় নাও থাকতে পারে। তাই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই সচেতন হওয়া শুরু করুন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। যারা সকলের মাথা কিনে নিয়েছেন বলে মনে করছেন, যারা ভাবছেন যে, এলাকা তাদের দখলে রয়েছে, তাই তারাই শুধু সভা, সমিতি করবে, বিরোধীদের কিছু করতে দেওয়া হবে না, এবার তাদের হাসি কেড়ে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। অনেকে বলতেই পারেন যে, সুকান্তবাবু হুশিয়ারি দিচ্ছেন। কিন্তু কে কি ভাবছে, তাতে কারওর কিছু যায় আসে না। এতদিন তৃণমূল যে গণতন্ত্রকে লুট করেছে, যেভাবে দুষ্কৃতীদের দিয়ে ভয় দেখিয়েছে, তাতে তাদের এই দিন এবার শেষের মুখে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি মুর্শিদাবাদের সভা থেকে তৃণমূলকে কার্যত সবক শেখানোর চেষ্টা করলেন।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে মুর্শিদাবাদের সভা থেকে গর্জে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “যারা আমাদের কর্মীদের ওপর হাত তুলেছেন, যারা মা-বোনেদের ওপর আক্রমণ করছেন। আমরা 2026 সালে ক্ষমতায় আসব। তারপরে কড়ায় ঘণ্টায় হিসাব বুঝে নেব।” একাংশ বলছেন, এই বক্তব্য নিয়ে বহু বিতর্ক হতে পারে। তৃণমূল এখন ময়দানে নেমে বলতে পারে যে, আইনের বাইরে কথা বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো? আপনার দলের কর্মীরা প্রতিনিয়ত মার খাচ্ছেন, অন্যায় ভাবে তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আর একজন নেতা হিসেবে, রাজ্য সভাপতি হিসেবে কতদিন চুপ করে থাকবেন সুকান্তবাবুরা? তাই এবার প্রতিরোধ করার রাস্তা বেছে নিয়েছেন তারা। আজকে শাসক দলের ক্ষমতায় থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত শক্তিকে অপব্যবহার করছে, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে। তাই আগামী দিনে এই রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হলে বিজেপিই যে বিকল্প, এটা বুঝতে কারওর বাকি নেই। আর বিজেপি ক্ষমতায় এলে এখন যারা তাদের কর্মীদের ওপর অত্যাচার করছে, হিসাব কষে রেখে পাল্টা কি করে সেই সমস্ত অত্যাচারীদের জব্দ করতে হয়, তার বার্তা দিয়ে কর্মীদের উজ্জীবিত করছেন সুকান্ত মজুমদার।

বিজেপির দাবি, তৃণমূল আমলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে প্রতিমুহূর্তে। পুলিশকে দলদাসে পরিণত করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিরোধী নেতা কর্মীদের। ভোটের আগে এবং পরে প্রচুর বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা এই রাজ্যে ঘরছাড়া হন। তাই রাজ্যে অচিরেই গণতন্ত্র ফিরবে। আর সেই সময় অত্যাচারী নেতাদের হিসাব জনতা জনার্দন বুঝে নেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত বাম আমলেও গণতন্ত্র রক্ষা নিয়ে প্রচুর আন্দোলন করেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার দলের নেতা কর্মীদের এইভাবে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা, প্রতিমুহূর্তে হামলা করা, এরকম ঘটনা খুব কম দেখা গিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সরকারের আমলে সেই ঘটনার পরিমান যেভাবে বেড়েছে, যেভাবে গণতন্ত্র এই রাজ্যে ধ্বংসের পর্যায়ে চলে গিয়েছে, তাতে সংস্কৃতির বাংলা আজকে লজ্জায় মুখ ঢাকছে। সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেই শাসকের কোপে করতে হচ্ছে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতার বদল হলে এর সুদে-আসলে জবাব যে বিজেপিও নিতে তৈরি, তা স্পষ্ট। তাই এখন তৃণমূল নেতাদের কানে ভালো করে এই কথা ঢুকিয়ে নেওয়া উচিত যে, ক্ষমতা শেষ কথা বলে না, শেষ কথা বলে ব্যবহার। আর এভাবেই যদি তারা বিরোধীদের ওপর দমন পীড়ন করতে শুরু করেন, তাহলে আগামী দিন তাদের ক্ষেত্রেও ভয়ংকর হয়ে আসবে। কিন্তু এই শুভবুদ্ধ ক্ষমতার নেশায় ডুবে যাওয়ার তৃণমূল নেতাদের কতটা হবে, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। কিন্তু যদি না হয়, তাহলে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎকে এমন অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেবেন যে, তখন খাবি খেয়েও পার পাবেন না। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!