এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ঘুম উড়লো মমতার! এজেন্সিকে চিঠি লিখতে চলেছেন সুকান্ত? টাইট পাবে তৃণমূল!

ঘুম উড়লো মমতার! এজেন্সিকে চিঠি লিখতে চলেছেন সুকান্ত? টাইট পাবে তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তৃণমূলের আমলে যে পরিমাণ চুরি দুর্নীতির সংখ্যা বেড়েছে, তা হয়তো অতীতে কোনো সরকারের আমলে হয়নি। মানুষ এখন সুবিচার চাইছেন। সকলেই বলছেন যে, চোরেরা কবে জেলে যাবে? কিছু চোর অবশ্য জেলের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু বাকিরা এবং মূল মাথারা কবে গ্রেপ্তার হবেন, সেই দৃশ্য দেখার জন্য তাকিয়ে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ। তবে সেই সময় আসতে হয়ত আর খুব বেশি দেরি নেই। যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি একের পর এক জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করছে, তাতে খুব দ্রুত তারা বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কি করবে, সেটা তাদের ব্যাপার, তাদের তদন্তের বিষয়। কিন্তু গ্রাউন্ডে নেমে রাজনীতি করতে গিয়ে বিজেপি নেতারা উপলব্ধি করেছেন যে, জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতারা কিভাবে মানুষের টাকা লুট করছে। তাই এবার তাদের নাম সংগ্রহ করে সেই সমস্ত নেতাদের টাইট দিতে সেই এজেন্সির কাছে চিঠি লিখবেন বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি এখনও পর্যন্ত অনেক জায়গায় পৌঁছতে পারেনি। ফলে সেই জায়গায় তাদেরকে সহযোগিতা করে যদি জেলায় জেলায় দুর্নীতি হওয়া নেতাদের নাম আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে দেন সুকান্তবাবুর মত নেতারা, তাহলে আগামী দিনে তৃণমূলে ঠগ বাঁচতে গা উজার হয়ে যাবে। এরপরে হয়ত গোটা তৃণমূল দলটাই জেলের ভেতরে থাকবে বলেই দাবি করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন মুর্শিদাবাদে একটি সভায় উপস্থিত হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই একের পর এক তৃণমূলের নেতা বিধায়ক সাংসদদের নাম করে হুশিয়ারি দেন তিনি। জন সাধারণের উদ্দেশ্যে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যারা যারা চুরি করেছে, যে সমস্ত তৃণমূল নেতারা, তাদের নাম আমাদের জেলা সভাপতির কাছে জমা দিন। আমরা এই চোরেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি একদম সঠিক জায়গায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে চিঠি লিখে এই চোরেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলব।” অনেকে বলছেন, এই দিনটা আসার খুব প্রয়োজন ছিল। কারণ কিছু কিছু মাথা ধরা পড়লেও মূল মাথা এখনও পর্যন্ত বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর জেলায় জেলায় প্রচুর তৃণমূল নেতা রয়েছেন, যারা দুর্নীতি করেও গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরছেন। তাই সেই জেলা স্তরে একের পর এক তৃণমূলের রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়েও জনসাধারণের মনে প্রশ্ন উঠবে। স্বাভাবিকভাবেই সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নাম দিলেই যে ব্যবস্থা হবে, এমনটা নয়। কিন্তু মানুষের মনে বিশ্বাস ফেরাতে এবং চোরেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সেই সমস্ত নাম সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, চিন্তার কোনো কারণ নেই। সব চোরেরাই জেলের ভেতরে যাবে। একটু সময় লাগছে, কারণ তদন্তের জন্য কিছু তথ্য সংগ্রহের কাজ রয়েছে। তাই এখন সেই কাজ চলছে। তবে ভবিষ্যৎ তৃণমূলের জন্য খুব একটা সুখকর হবে না। জেলায় জেলায় যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, যেভাবে মানুষের টাকা লুট করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে প্রচুর নেতাদের নাম উঠে এসেছে। আগামী দিনে তারা কেউ ছাড়া পাবে না। সকলকেই জেলের ভেতরে যেতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কয়েকজন নেতা মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু তারপর যেভাবে তদন্ত থমকে রয়েছে, কয়েক জায়গায় তল্লাশি করেই যেভাবে চুপচাপ রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাতে তাদের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। অনেকেই বলছেন যে, তৃণমূলের ওপর তোলার সঙ্গে সেটিং হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত কথা শুধুই প্রচার মাত্র। বিজেপি যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে, তাতে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে, এই রাজ্যে যে সমস্ত নেতারা চুরি করেছেন, তারা কেউ ছাড় পাবেন না। হয়ত তদন্তের খাতিরে এখনও অনেকের কাছে পৌঁছতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে তাদের সেই কাজে সুবিধে করে দিতে মানুষের কাছ থেকে চোরেদের নাম নিয়েই সেই নাম এজেন্সির কাছে পৌঁছে দিতে এবার বড় ভূমিকা পালন করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। স্বাভাবিক ভাবেই জেলায় জেলায় তৈরি হওয়া তৃণমূল আমলে চোরেদের সামনে এবার সমূহ বিপদ। এতদিন তারা গা ঢাকা দিয়ে বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মুর্শিদাবাদের মানুষের কাছে জনসভায় দাঁড়িয়ে সুকান্ত মজুমদার যে আহ্বান করলেন, তা যদি সত্যি হয় এবং সাধারন মানুষ যদি বিজেপি নেতাদের কাছে তৃণমূলের আমলে তৈরি হওয়া চোরেদের তালিকা তুলে দেয়, তাহলে চরম বিপদে পড়তে পারেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীও। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!