এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জঙ্গলের রাজত্ব, সাধুদের ওপরে বেলাগাম অত্যাচার! ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন শুভেন্দু!

জঙ্গলের রাজত্ব, সাধুদের ওপরে বেলাগাম অত্যাচার! ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যকে ঠিক কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পুলিশ, তা স্বপ্নেও কল্পনা করা যাবে না। প্রতিমুহূর্তে প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিরোধীদের ওপর তো বটেই, মুনি ঋষিদের উপরেও নির্যাতন চালাচ্ছে প্রশাসন। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা কিছু সাধুদের ওপর পুলিশের পক্ষ থেকে বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই হিন্দু সনাতনীদের দেশে মমতা পুলিশের এই ঔদ্ধত্য হয় কি করে, তা নিয়ে এতদিন প্রশ্ন উঠেছে। আর এবার সেই বিষয়টি তুলে ধরেই পশ্চিমবঙ্গকে জঙ্গলের রাজত্বের সঙ্গে তুলনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অবশ্য করবেন নাই বা কেন? শুধুমাত্র ভোটব্যাংক নিজেদের দখলে রাখার জন্য সম্প্রদায়কে তোষণ করে যাবেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আর হিন্দু সনাতনীরা প্রতিমুহূর্তে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এই রাজ্যে, দুটো একসঙ্গে হতে পারে না। প্রশাসকের চেয়ারে বসে সকল ধর্মকেই সমানভাবে প্রাধান্য দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তা না হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা যে প্রতিবাদ তৈরি করবে এই রাজ্যের বুকে, তা সামাল দিতে পারবে না প্রশাসন। স্বাভাবিক ভাবেই সাধুদের ওপর পুলিশের নির্মম অত্যাচার নিয়ে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে গর্জে ওঠেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এই রাজ্যে কিছুদিন আগে সাধুদের যেভাবে পিটিয়েছে, এ মেনে নেওয়া যায় না। এটা জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। চারিদিকে হাহাকার চলছে। আনোয়ার নামে একটা সিভিক এখানে একটি সাধুকে লাঠি দিয়ে যেভাবে বেধরক মারধর করেছে, এই জিনিস বরদাস্ত করা হবে না।” অনেকে বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে তো এই জিনিস নতুন কিছু নয়। একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করতে গিয়ে তাদের বাড়বাড়ন্তুই লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই বাংলার বুকে। অথচ এই বাংলায় যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ, যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, যাদের ধর্ম সংহতি, নিষ্ঠার কথা বলে, সেই হিন্দু ধর্মের মানুষরা পূজো, আচার, নিয়ম করতে গেলে প্রতিমুহূর্তে কিছু মানুষের জন্য বিপদের মুখে পড়ছে। তাই “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” বলা মুখ্যমন্ত্রীকে এবার একটু হিন্দু ধর্মের মানুষদের দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের তোষন বন্ধ করে আক্ষরিক অর্থেই নিরপেক্ষ প্রশাসক হয়ে উঠতে হবে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, পুলিশ দিয়েই সবকিছু পরিচালিত করছে এই রাজ্য সরকার। তবে শেষের সেদিন খুব কাছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন অনিবার্য। সনাতনী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। তাই সাধুরা এখানে আক্রান্ত হয়। কিন্তু এর চরম কুফল ভোগ করতে হবে তৃণমূল সরকারকে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, এ লজ্জা বাংলার মানুষ রাখবে কোথায়? অন্য রাজ্য থেকে এই রাজ্যে সাধু সন্তরা আসলে কিনা পুলিশের হাতে তাদের আক্রান্ত হতে হয়! কোন জায়গায় পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসন? আজকে অন্য রাজ্যে গিয়ে বাংলার মানুষ মুখ দেখানোর মত জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন না। এতদিন এই রাজ্যের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তারা বিরোধীদের সভা সমিতি করতে দেয় না, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, আইনশৃঙ্খলা সামলাতে পারে না। কিন্তু এবার সেখানে নতুন অভিযোগ জুড়ে গেল। হিন্দু সনাতনীদের যে ক্ষোভ এই রাজ্যের প্রশাসনকে নিয়ে তৈরি হলো, তার প্রভাব ভোটব্যাংকে তো পড়বেই। পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবাবেগেও চরম আঘাত এনে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনলো এই দলদাস প্রশাসন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!