এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের চুরি নিয়েও তৈরি হচ্ছে কাব্যগ্রন্থ, চমকে দিলেন হেভিওয়েট! চুপসে গেল ঘাসফুল!

তৃণমূলের চুরি নিয়েও তৈরি হচ্ছে কাব্যগ্রন্থ, চমকে দিলেন হেভিওয়েট! চুপসে গেল ঘাসফুল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তৃণমূল নেতাদের এত চুরি ধরা পড়ার পরেও কেন জানি না তাদের লজ্জা হচ্ছে না। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিরোধীরা তাদের বিভিন্ন ভাষায় আক্রমণ করছে। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অপকর্ম তৃণমূল দল এবং তাদের নেতারা করে রেখেছেন, তাতে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, চুরি এবং দুর্নীতির মধ্যে দিয়েই ক্ষমতা ভোগ করছে এই রাজ্যের শাসক দল। শিক্ষা নিয়োগ থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি, সব জায়গায় তদন্ত করলেই দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতারা জড়িয়ে পড়েছেন। এখন আবার এই রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে রহস্যে মোড়া মেরুন ডায়েরি নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এসব ডায়েরি, খাতা, পেন তৃণমূলের পক্ষে যথেষ্ট নয়। তারা এত চুরি করেছে যে, সেটা লিখতে গেলে একটা মহাকাব্যের পৃষ্ঠা ফুরিয়ে যাবে। এদিন সেই ইস্যুতেই তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে চরম কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এক্ষেত্রে তিনি তৃণমূলের মুখপাত্র, যিনি আবার দীর্ঘদিন জেল খেটে এসেছেন, আর ঘন্টায় ঘন্টায় তৃণমূলের হয়ে গলা ফাটান, তাকেই অনুরোধ করলেন সেই কাব্যগ্রন্থ রচনার জন্য। তবে এটা অন্য কোনো কাব্যগ্রন্থ নয়। তৃণমূলের চুরি নিয়ে কাব্যগ্রন্থ যাতে কুনালবাবু লেখেন, তার জন্য সুকান্তবাবু তার উদ্দেশ্যে সুকৌশলে একটি কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন। যার ফলে রীতিমত চুপসে গেলেন তৃণমূল নেতারা।

প্রসঙ্গত, এদিন মেরুন ডায়েরি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে একটি প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি তৃণমূলকে চরম বিপাকে ফেলে দেন। সুকান্তবাবু বলেন, “তৃণমূল এত চুরি করেছে যে, এসব ডায়েরি দিয়ে কিছু হবে না। ওদের চুরির পরিমাণ এতটাই যে, রামায়ণ, মহাকাব্যের থেকেও অনেক বড় কাব্যগ্রন্থ রচনা হয়ে যাবে। কুনাল ঘোষ তো লেখালেখি করেন, ওনার লেখালেখির অভ্যাস আছে। তাই আমি ওনাকে বলব যে, তৃনমূলের চুরির সাতকাহন নিয়ে একটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করার জন্য।” অনেকে বলছেন, মুখের মত জবাব বোধ হয় একেই বলে। যে দলটা আপাদমস্তক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে, যে দলের মুখপাত্র দীর্ঘদিন জেল খেটে এসেছেন, তাকেই সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, তার দলের চুরি নিয়ে খুব ভালো রচনা যদি কেউ লিখতে পারেন, তাহলে সেটা পারবেন কুনাল ঘোষ। তবে এতসবের পরেও যদি তৃণমূলের শিক্ষা না হয়, তাদের চোখ না খোলে, তাহলে সত্যিই আর হাজার বলেও তাদের শুভবুদ্ধির উদয় ঘটানো যাবে না। সরকারের কাজ রাজ্যের উন্নয়ন করা। কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সুযোগ পেলেই সব জায়গায় চুরি করার প্রবণতা, এ যেন এক ভয়ঙ্কর ট্র্যাডিশন এই রাজ্যে চালু করেছে তৃণমূল সরকার। তাই যে সমস্ত কাব্যগ্রন্থ রচনা করে গিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং সেখানে যত ভালো কাহিনী রয়েছে, তার থেকে অনেক ভালো কাহিনী এবং চর্চার মত বিষয় তৃণমূলের চুরি নিয়ে যদি কোনো কাব্যগ্রন্থ রচনা করা হয়, তাহলে সেখানে পাওয়া যাবে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে এই ব্যাপারে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, রতনে রতন চেনে। কুনাল ঘোষ নিজেও দীর্ঘদিন জেল খেটে এসেছেন। তাই তিনি চুরির বিষয়টা হয়ত ভালো বোঝেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি একটা বই লিখলে সেটা নিয়ে অনেক বেশি চর্চা হবে। তাই তার দলের যে সমস্ত দুর্নীতি হচ্ছে, তা নিয়ে তিনি বরঞ্চ একটা ইতিহাস লিখে ফেলুন। এত চুরি, প্রশাসনকে সামনে রেখে এত দুর্নীতি, অতীতে আর কোনো সরকার করেনি‌। যা তৃণমূল এই বাংলায় করে গোটা রাজ্যের সর্বনাশ করেছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে যেখানেই হাত দেওয়া যাচ্ছে, সেখানেই দুর্নীতির গন্ধ বের হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, এই সরকার টাকার বিনিময়ে সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছে। সব জায়গায় ক্ষমতা দখলের যে স্পৃহা এই রাজ্যের শাসকদলের মধ্যে জন্ম নিয়েছে, তা ভয়ংকর জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সংস্কৃতির রাজ্য হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গে আজ সব জায়গাতেই চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে চুরি এবং দুর্নীতি। তাই যেভাবে এই রাজ্যকে বদনাম করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, তাতে সেই তৃণমূলকে নিয়েও একটা কাব্যগ্রন্থ লেখা দরকার। তাদের চুরি যেভাবে পর্বত সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে অবশ্যই এই প্রাতিষ্ঠানিক চোরেদের সমাজের সামনে নিয়ে আসা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই কুনাল ঘোষের মত তৃণমূলের মুখপাত্রকে সেই দায়িত্ব দিয়ে শাসক দলকে রীতিমত বেকায়দায় ফেলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!