এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জল্পনা-কল্পনার অবসান! দুর্গাপুজো নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বড়সড় সিদ্ধান্ত মমতার

জল্পনা-কল্পনার অবসান! দুর্গাপুজো নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বড়সড় সিদ্ধান্ত মমতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পুজোর আনন্দে দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনে বন্দি থাকা সাধারণ মানুষ এবার কিছুটা হলেও গৃহমুক্ত হয়ে চুটিয়ে আনন্দ করতে পারবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই হাইকোর্টের একটি রায়ে সকলের মনে হতাশা তৈরি হয়। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনো পুজো মণ্ডপে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।

স্বাভাবিক ভাবেই সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত পুজো কমিটিকেগুলোকে আর্থিক অনুদান করা হলেও যদি তারা দর্শক টানতে না পারে, তাহলে বড় প্যান্ডেল এবং প্রতিমা করে কি লাভ হবে! তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। অনেকে ভেবেছিলেন, হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে রাজ্য সরকার। আর রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে যখন নানা মহলে জল্পনা চলছিল, ঠিক তখনই হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিতে দেখা গেল রাজ্য সরকারকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হাইকোর্টের রায়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বড় মন্ডপের ক্ষেত্রে দূরত্ব 10 মিটার এবং ছোট মন্ডপের ক্ষেত্রে 5 মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। এক্ষেত্রে মন্ডপের বাইরে লাগাতে হবে নো এন্ট্রি’ বোর্ড। ভেতরে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে মন্ডপে ঢোকার জন্য পুজো কমিটির 20 থেকে 25 জন সদস্যকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের নাম আগে থেকেই ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব পালন যে বাধ্যতামূলক, তা নিজেদের রায়ের মধ্যে দিয়েই কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে যে বারো মাসে তেরো পার্বণের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের জন্য সারা বছর ধরে প্রতীক্ষা করে থাকে বাঙালি, সেই উৎসবেও যদি এইভাবে আনন্দ কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে অনেকের মনেই যে বিষাদের আবহ তৈরি হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এমত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ক্লাব উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে নানা বিশিষ্টজনেরা এই রায় নিয়ে উস্মা প্রকাশ করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সকলের মনেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, এবার মা দুর্গার মন্ডপে আসার আগে তীব্র দড়ি টানাটানি সৃষ্টি হতে পারে। যেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই রায়ের বিরোধিতা করে যাওয়া হতে পারে শীর্ষ আদালতে। কিন্তু শেষমেশ আর সেই পথে হাটতে চাইছে না রাজ্য সরকার। জানা গেছে, আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে যাতে সকলে এবারের উৎসব কাটান, তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যেই এই বছরের পুজো ভার্চুয়ালের মাধ্যমেই সকলকে উপভোগ করার আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করার পথেই হাঁটতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রাজ্য সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেত, তাহলে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হতে পারত। কেননা এমনিতেই করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই হাইকোর্টের এই রায়কে বিশেষজ্ঞদের অনেকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। অনেকেই বলেছিলেন, উৎসব পরে, আগে মানুষের জীবন। তাই মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে গেলে এবারের উৎসবটা সাদামাটা করে পালন করতেই হবে। কিন্তু বিভিন্ন ক্লাব উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিয়েও শেষ পর্যন্ত তাদের আনন্দে হাইকোর্টের রায়ে ভাটা পড়ায় খুশি ছিলেন।

তবে শেষপর্যন্ত হাইকোর্টের রায়কে যদি মান্যতা দেওয়া না হয়, তাহলে রাজ্য সরকারের নীতি নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠবে, ঠিক তেমনই ভবিষ্যতে যদি করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পায়, তাহলে হাইকোর্টের রায় অমান্য করা নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে প্রশ্ন তুলতে পারে বিরোধীরা। তাই এই সমস্ত কিছুকে মাথায় রেখেই এবার হাইকোর্টের রায়কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করার পথে হাঁটতে দেখা গেল রাজ্য সরকারকে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এবারের দূর্গাপূজো যে সত্যিই অন্যান্য বছরের থেকে আলাদা হতে চলেছে, তা কার্যত স্পষ্ট জনমানসে। তবে মানুষ এই রায়কে মান্যতা দিয়ে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে প্রিয় উৎসবে অংশগ্রহণ করেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!