এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে বড়সড় মুশকিল আসান প্রশাসনের! বাড়িতে বসেই এবার পুজো দেখার মহা সুযোগ! জানুন বিস্তারে

করোনা আবহে বড়সড় মুশকিল আসান প্রশাসনের! বাড়িতে বসেই এবার পুজো দেখার মহা সুযোগ! জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মার্চ মাস থেকে করোনা ভাইরাসের দাপট চলার কারণে এমনিতেই মানুষ অনেক উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তবে শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজাতে অন্তত সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হয়েছিল। সেই মত করে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু তৃতীয়াতেই দুঃখের খবর আসতে শুরু করে। যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের রায়দানের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার কেউ পূজামণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না।

সেক্ষেত্রে ভার্চুয়ালের মাধ্যমেই সকলকে পুজো দেখার কথা বলা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দে যে অনেকটাই ছেদ পড়ল সাধারণ জনগণের, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায়কে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আর তাই পুজোর আনন্দ থেকে যাতে সাধারণ মানুষ কোনোভাবেই বঞ্চিত না হন, তার জন্য মহাপঞ্চমী থেকেই ঘরে ঘরে পুজো পরিক্রমা ব্যবস্থা করতে চলেছে প্রশাসন।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বারুইপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ অ্যাপের উদ্বোধন করা হয়। যেখানে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে এই অ্যাপটি ইনস্টল করলে বাড়ি বসে অঞ্জলি থেকে আরতি সমস্ত কিছুই দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। স্বাভাবিক ভাবেই করোনা ভাইরাসের কারণে কলকাতা হাইকোর্টের রায়দানে এবার মানুষ সেভাবে দুর্গাপূজোতে শামিল হতে পারবেন না। তবে ঘরে বসেই যাতে সেই পুজো দর্শনের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়, তার জন্য বারুইপুর প্রশাসনের এই উদ্যোগ অত্যন্ত সাধুবাদযোগ্য বলেই মনে করছেন সকলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, বারুইপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তৈরি করা এই অ্যাপে বারুইপুরের আটটি বড় পুজো মণ্ডপ ছাড়াও ক্যানিং, সোনারপুর এবং নরেন্দ্রপুরের নানা পুজো দর্শন করতে পারবেন সাধারন মানুষ। অর্থাৎ একদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে বাইরে যেমন বেরোতে হবে না এলাকার মানুষকে, ঠিক তেমনই ঘরে বসে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তারা। যার ফলে বিষাদের এই মুহূর্তে তাদের কাছে বারুইপুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালু করা এই অ্যাপ অনেকটাই আনন্দ প্রদান করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, “আগামী দু-তিন দিনে আরও বেশ কিছু পুজোকে এই অ্যাপসের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যেখানে ইন্টারনেট ব্যবস্থা ভালো পাওয়া যাবে, সেখানকার পুজোগুলো এই অ্যাপের তালিকাভুক্ত হবে। বুধবার থেকে সেই অ্যাপটি চালু হয়ে যাবে।”

এদিকে এই ব্যাপারে বারুইপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মানুষ মণ্ডপে যেতে পারবেন না। অ্যাপেই পুজো দেখতে হবে। কিন্তু প্যান্ডেলে মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে অঞ্জলি দিলে আত্মিক শান্তি হয়। যা অ্যাপের মাধ্যমে হবে না। ঘরে বসে ঠাকুর দেখতে হবে, আর প্রতিমাকে মনে মনে স্থান দিতে হবে। এই মহামারীর সময় সকলকে সচেতন থাকতে হবে।” সব মিলিয়ে প্রকাশ্যে মানুষ প্রতিমা দর্শনে বের হতে না পারলেও, যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা তৈরি না হয়, তার জন্যই বারুইপুর জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!