এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলে চলছে শুদ্ধিকরণ, দল থেকে একে একে বহিষ্কার বিজেপি অনুগামীরা

তৃণমূলে চলছে শুদ্ধিকরণ, দল থেকে একে একে বহিষ্কার বিজেপি অনুগামীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূলে ধ্বস নেমেছিল। একের পর এক নেতা তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন হেভিওয়েট শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর হাত ধরে অনেক অনুগামীও দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তবে বেশ কিছু তৃণমূলী বিজেপিতে যোগদান করতে চেয়েও করতে পারেননি স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্ত্বের আপত্তির কারণে। সেরকমই একজন হলেন জলধর পান্ডা যিনি পরিচিত ঝাড়গ্রামের বিনপুর-1 ব্লকের তৃণমূল যুব নেতা হিসাবে। ভোট মিটে যাওয়ার পর এবার শুদ্ধিকরণের পালা। বিভিন্ন জায়গা থেকে শুভেন্দু অনুগামী বা বিজেপি পৃষ্ঠপোষককারী নেতাদের বার করে দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল থেকে।

সেরকমই ঝাড়গ্রামের বিনপুর-1 ব্লকের তৃণমূল নেতা জলধর পান্ডাকে দল থেকে বহিষ্কৃত করা হল। তাঁর সম্পর্কে অভিযোগ হলো, তিনি বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছিলেন এবং দল বিরোধী কাজ করেছিলেন। আর সেকারণেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত জলধর পান্ডাকে দলে রাখার আর কোন ঝুঁকি এই মুহূর্তে নিতে নারাজ তৃণমূল শিবির। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীন ঝাড়গ্রাম অঞ্চলে দলীয় কার্যবিধি পরিচালনার ক্ষেত্রে জলধর পাণ্ডার ওপর নির্ভর করতেন। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অনুগামী হয়ে তিনিও বিজেপিতে যোগদান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের চূড়ান্ত আপত্তিতে তিনি তা করতে পারেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিজেপিতে যোগ দিতে না পারলেও একুশের বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির হয়েই তিনি কাজ করে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই কারণেই বিনপুর 1 ব্লকে বিজেপি প্রার্থীর থেকে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল প্রার্থী। যদিও বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রামের চারটি বিধানসভা আসনেই তৃণমূল জয়লাভ করেছে। আর তারপরেই দলে থেকে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তাঁদের দল থেকে বার করার দাবি ওঠে। আর সেই তালিকায় সবার প্রথমেই নাম ছিল শুভেন্দু অনুগামী জলধর পান্ডার। মঙ্গলবার লালগড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।

সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম এর বিধায়ক তথা বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এবং জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুর্গেশ মল্লদেব সহ অনেকেই। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিশ্বাসঘাতক নেতাকে বার করে দেওয়া হবে। অন্যদিকে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাল্টা তিনি বলেছেন, তৃণমূল প্রার্থীদের হারাতে যারা কাজ করেছিল, তাঁরাই এখন দলের সম্পদ হয়ে উঠেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষমতায় এসে তৃণমূল দলীয় সংগঠনের কোনরকম ক্ষতি যাতে না হয় সেদিকে কড়া নজর দিয়েছে। সেক্ষেত্রে বিজেপি নেতাদের অনুগামীদের চিহ্নিত করে দলকে সুরক্ষিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!