এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > রাজ্যে এবার হস্তক্ষেপ করছেন অমিত শাহ? সুকান্তর হুশিয়ারিতে উত্তাল নবান্ন!

রাজ্যে এবার হস্তক্ষেপ করছেন অমিত শাহ? সুকান্তর হুশিয়ারিতে উত্তাল নবান্ন!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-নরেন্দ্র মোদীর থেকে অমিত শাহের নাম শুনলেই তৃণমূল নেতারা একটু ভয়ে থরথর করে কাঁপতে শুরু করেন। মুখে তারা যতই বড় বড় কথা বলুন না কেন, অমিত শাহ হস্তক্ষেপ করছেন বা অমিত শাহ কোনো রণনীতি স্থাপন করছেন, এটা শুনলে অনেক বড় বড় তৃণমূল নেতারাও ভেজা বিড়াল হয়ে যান। শেখ শাহজাহান, অনেক বড় নেতা। তার দাপটে নাকি বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলা হওয়ার পর থেকেই তিনি গায়েব হয়ে রয়েছেন। রাজ্য পুলিশ নাকি তার সন্ধান পাচ্ছে না। কিন্তু বিরোধীদের দাবি যে, এই পুলিশ সবকিছুই জানে, তারা ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই শাহজাহানকে ধরছে না। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার এবং তাদের পুলিশের এই টালবাহানা নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম উচ্চারণ করে তিনি এমন একটি কথা বললেন, যার পর মনে করা হচ্ছে যে, এবার হয়ত এই সন্দেশখালির ঘটনায় সেই অমিত শাহের হস্তক্ষেপ করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি হস্তক্ষেপ করলে পুলিশ তো বটেই, যত বড়ই রাঘববোয়াল এর পেছনে থাকুক না কেন, তার মাথাব্যথা হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার বা রাজ্য পুলিশ কিছুই করেনি। কিন্তু তারা যদি না করে, তাহলে এর ফল ভয়ংকর হতে পারে। কারণ তারা যেন মনে রাখে যে, ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম অমিত শাহ। তিনি হস্তক্ষেপ করলে যেখান থেকেই হোক, যে গর্তেই থাকুক না কেন, টুটি চিপে বের করে আনবে।” অনেকে বলছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। তিনি অনেক বড় বড় সন্ত্রাসবাদীদের শায়েস্তা করেছেন। কাশ্মীরের মত এলাকাকে ঠান্ডা করে দিয়েছেন। তাই তার মত নেতা এখনও পর্যন্ত বাংলা নিয়ে হস্তক্ষেপ করছেন না কিন্তু এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে তিনি যে অবিলম্বে এই হস্তক্ষেপ করবেন এবং সন্দেশখালির মত ঘটনা নিয়ে যদি তিনি একবার বাংলায় নজর দিয়ে ফেলেন, তাহলে এই সরকার এবং তার পুলিশের টাইট পেতে খুব একটা দেরি নেই বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, শেখ শাহজাহান নাকি এত বড় বীর! তাহলে তিনি সামনে আসতে কেন ভয় পাচ্ছেন! আসলে তিনিও ভালোমত জানেন, তাকে একবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি ধরলে তিনি চট করে ছাড়া পাবেন না। তাই তাকে আশ্রয় দিচ্ছে এই প্রশাসন। তবে প্রশাসন এবং দুষ্কৃতী দুজনকেই কি করে টাইট দিতে হয়, তা খুব ভালো মতোই জানেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই এখন থেকেই আগেভাগে নিজেদের শুধরে নিক এই দলদাস পুলিশ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাই তারা যখন এই রাজ্যে এসে হামলার শিকার, তখন তাতে প্রবল আঘাত পেয়েছেন স্বয়ং অমিত শাহ। স্বভাবতই গোটা ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবে নিয়েছেন যে, পুলিশ আছে, সুতরাং কেউ তাকে টলাতে পারবে না। কিন্তু কথায় আছে, বাপেরও বাপ থাকে। তাই অমিত শাহ যদি এবার শাহজাহানকে খুজতে পদক্ষেপ নেন, তাহলে চরম ফ্যাসাদে পড়তে পারে নবান্ন। তাই সময় থাকতেই নিজের পুলিশকে দিয়ে শেখ শাহজাহানকে বের করে আনুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা না হলে চরম দুঃসময় ধেয়ে আসছে রাজ্য প্রশাসনের জন্য। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!