এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মামলা তো করলেন, অ্যারেস্ট করতে পারবেন তো? পুলিশকে ওপেন চ্যালেঞ্জ সুকান্তর!

মামলা তো করলেন, অ্যারেস্ট করতে পারবেন তো? পুলিশকে ওপেন চ্যালেঞ্জ সুকান্তর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের পুলিশ এক অদ্ভুত আচরণ করে। তারা যে দলদাসে পরিণত হয়েছে, এটা আজকে নতুন করে বলতে হবে না। কিন্তু মাঝেমধ্যেই তারা তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে গিয়ে ভুলে যায় যে, কিছু কিছু কাজের জন্য তারা নিজেরাই কেস খাবেন। সন্দেশখালির ঘটনার দশ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত তৃণমূলী নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করার মতো ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের হয়নি। উল্টে বিজেপি কেন সেই ন্যাজাট থানা ঘেরাও করেছে এবং কেন অভিযুক্তের গ্রেপ্তারির দাবিতে আন্দোলন করছে, তা নিয়েই পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে স্বতঃ প্রণোদিত মামলা। অনেকে বলছেন, তাহলে কি এই বিক্ষোভে উপস্থিত থাকার জন্য এবার গ্রেপ্তার করা হবে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে? যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেই এই পুলিশ, তাহলেও আশ্চর্য হওয়ার মত বিষয় নেই। কারণ এরা দলদাস হতে হতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, বিবেকহীন হয়ে পড়েছে। কিন্তু পুলিশকে কি করে শোধরাতে হয় এবং কি করে তাদের সোজা করতে হয়, সেটা খুব ভালো জানে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। তারা এতদিন পুলিশের চোখে চোখ রেখে প্রশাসনের ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে যখন আন্দোলন করছে, তখন তারা জেনে বুঝেই রাস্তায় নেমেছে। তাই এবার পুলিশ এই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ করার জন্য স্বতঃ প্রণোদিত মামলা করতেই তাদের ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর তারপরে সেই পুলিশের উদ্দেশ্যেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যে, এতই যখন ক্ষমতা, তাহলে এবার গ্রেফতার করতে পারবেন তো বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতিকে?

প্রসঙ্গত, এদিন সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ন্যাজাট থানায় বিক্ষোভের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। আর সেই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পুলিশের মামলা তো আমাদের জন্য উপহার। এ তো হামেশাই হয়ে থাকে। কিন্তু যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে গ্রেপ্তার করুক আমাকে।” অনেকে বলছেন, এই পুলিশের মেরুদন্ড, মস্তিষ্ক কিছুই কাজ করছে না। মেরুদন্ড বিকিয়ে গেছে তৃণমূলের অবাঞ্চিত অর্ডারের জন্য। আর মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে অপরাধীদের ভয়ে বেঞ্চের তলায় লুকিয়ে থাকার কারণে। পুলিশ আজকে চোরেদের ধরতে ভুলে গিয়েছে। সেই কারণে শেখ শাহজাহান সেই পুলিশের আশ্রয়ে কোথাও একটা লুকিয়ে রয়েছেন। আর পুলিশ মেরুদণ্ডহীনের মত যারা অভিযুক্তের গ্রেপ্তারির দাবিতে আন্দোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কিন্তু এবার পুলিশের কাছেও একটা বড়সড় চ্যালেঞ্জ। এতই যখন তাদের ক্ষমতার এতই যখন তাদের লাঠির জোর, তাহলে যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, যে সমস্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে, বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে, তাদের গ্রেপ্তার করে দেখাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দলদাস প্রশাসন‌। শুধুমাত্র কাগজে বাঘ হয়ে আর মামলার ভয় দেখিয়ে বিজেপির অগ্রগতি আটকানো যাবে না বলেই দাবি করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, সম্পূর্ণরূপে প্রশাসন নির্ভর হয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজকে পুলিশ সরে গেলে তৃণমূল জনভিত্তি হারিয়ে ফেলবে। সব জায়গায় পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে চোরেদের আড়াল করে প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে এই রাজ্যের সরকার। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? মানুষ জাগতে শুরু করেছে। শেখ শাহজাহানের মত অপরাধীদের আর বেশি দিন লুকিয়ে রাখতে পারবেন না এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুনতে খারাপ লাগলেও এটা সত্যি যে, এই রাজ্যের পুলিশ দলদাস হয়ে কাজ করতে করতে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এত মামলা দিয়েছে যে, একজন চোর, আসামীর বিরুদ্ধেও এত মামলা হয় না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আদালতে এই ব্যাপারে থাপ্পড় খেয়েছেন রাজ্য। কিন্তু তারপরও তাদের শিক্ষা হয়নি। যে করেই হোক, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পর্দাফাঁস করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন, তাদের মুখ বন্ধ করতে হবে। তাই অপরাধী লুকিয়ে থাকলেও, তাকে বের না করে যারা প্রতিবাদ করছেন, তাদের মুখ বন্ধ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দিয়ে একটা ভয় দেখানোর চেষ্টা হলো‌‌। কিন্তু এই ভয়ে যে বিজেপি ভীত নয়, তারা যে শেখ শাহজাহান গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত এই প্রশাসনের নির্লজ্জতা নিয়ে সোচ্চার হবেন, তা বোঝাই যাচ্ছে। বরঞ্চ কাগুজে বাঘের মত এই সমস্ত মামলা দিয়ে তৃণমূলের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুকান্ত মজুমদারের লড়াইয়ের জেদটা আরও বাড়িয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!