মমতার হাত ধরতে চাইছেন ডালু ও মৌসম, তোলপাড় রাজনৈতিক মহল কলকাতা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য July 6, 2018 বাংলায় শক্তি ক্ষয় হতে হতে কংগ্রেসের অস্তিত্ত্ব এখনো বেশ ভালো রকম অবশিষ্ট ছিল মালদা ও মুর্শিদাবাদে। কিন্তু ধীরে ধীরে তাও ভাঙনের মুখে। আর কংগ্রেসের সেই ভাঙন আরও স্পষ্ট হয় যখন কংগ্রেসের সনিয়া গান্ধীর সাথে দেখা করেন মালদার বরকত গনি খান চৌধুরীর ভাই তথা কংগ্রেসের প্রবীন সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালুবাবু। আর দেখা করে যা আবেদন জানিয়েছেন তাতে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে সেই ডালুবাবুকে নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এমনকী শুধু তিনিই নন, বরকত পরিবারেরই সদস্য তথা আরেক কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর মনে করেন, তৃনমূলের সাথে আসন সমঝোতা করলেই কংগ্রেস জিতবে। না হলে এরাজ্যে নতুন আসন জেতা তো দূরের কথা গত লোকসভায় জেতা আসনগুলোও হারাতে হতে পারে কংগ্রেসকে। এই দুই সাংসদই এদিন বলেন, “আমরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে যোগ দিতে চাই না। কিন্তু জাতীয় স্তরে বিজেপিকে সরাতে মমতাকে প্রয়োজন কংগ্রেসের।” এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে এ মতের সম্পূর্ন বিরোধীতা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, এ রাজ্যে তৃনমূলের সঙ্গে জোট করলে সুবিধে হবে বিজেপিরই। জানা গেছে, তৃনমূলের সঙ্গে জোটে যে তাঁরা রাজি নন এ ব্যাপারে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন আব্দুল মান্নান। যেখানে লেখা আছে, “রাজ্যে মমতার পক্ষে ও বিরুদ্ধে এই দুটি পরিসর রয়েছে। মমতার সাথে কংগ্রেস থাকলে বিরোধী পরিসরটাকে পুরোপুরি বিজেপি পেয়ে যাবে। বিজেপিকে এই সুযোগ আমরা দেব কেন?” এদিকে যখন রাজ্যের নেতাদের মধ্যে তৃনমূলের সঙ্গে জোট হবে কি হবে না সে নিয়ে দ্বন্দ্ব অব্যাহত ঠিক তখনই আগামীকাল এ রাজ্যের ৪০ জন নেতাকে নিয়ে দিল্লীতে এক বৈঠকে বসবেন রাহুল গান্ধী। এখন সেই বৈঠক থেকে ঠিক কি উঠে আসে তাঁর জন্যই অপেক্ষা করছেন এ রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। তবে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, তাঁদের সিংভাগই তৃনমূলের সাথে জোট করতে রাজি নয়। আর সে কথাই তাঁরা তাঁদের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে তুলে ধরবেন। তবে এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ট এক নেতার বক্তব্য, তৃনমূলের সাথে না হলেও এ রাজ্যে যে সিপিএমের সাথে জোট হবে এ ব্যাপারেও তো কেউই নিশ্চিত হতে পারছেন না! সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেসের ওমপ্রকাশ মিশ্র সিপিএমের সাথে জোট করতে চেয়ে চিঠি পাঠালেও আলিমুদ্দিন স্ট্রীট থেকে কোনো সদুত্তর আসেনি। আর এই ওমপ্রকাশ মিশ্র কদিন আগে রাহুল গান্ধীর সাথে দেখা করে ‘মমতা কংগ্রেসকে ভাঙছেন’ এই অভিযোগও করে এসেছেন। আর তারপর মালদার দুই কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ও মৌসম বেনজির নুর – এ রাজ্যে তৃনমূলের সাথে জোট করার প্রস্তাব দিলেও যদি হাইকমান্ড সেই প্রস্তাবে রাজি না হয় তবে কি গনি পরিবারের এই দুই সদস্যও নিজেদের সাংসদ পদ ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে যোগ দেবেন তৃনমূলে? যদিও এ প্রসঙ্গে এই দুই কংগ্রেস নেতা নেত্রী কোনো মন্তব্য না করলেও একটা জল্পনা কিন্তু ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। আপনার মতামত জানান -