এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তারুণ্য নাকি অভিজ্ঞতা – তিন রাজ্যে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এবার জীবনের সবথেকে বড় পরীক্ষার মুখে রাহুল গান্ধী

তারুণ্য নাকি অভিজ্ঞতা – তিন রাজ্যে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এবার জীবনের সবথেকে বড় পরীক্ষার মুখে রাহুল গান্ধী

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত ছিল, আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলেই আগামী লোকসভার চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোতেই দেখা গেলো, প্রায় তিনটি রাজ্যে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। কিন্তু, এত কিছুর পরেও কি, জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী খুব স্বস্তিতে আছেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোন নির্বাচনেই জয়লাভ করাটা মুখ্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আর এই জয়ের পরই প্রথম কঠিন কাজটি হল, সেনাপতি নির্বাচন করা। এখন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীকেও সেই সমস্যাই প্রবলভাবে বেগ দিচ্ছে। ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস এমনিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে খুব একটা সমস্যা হবে না তাদের । কিন্তু রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই প্রশ্নই এখন প্রবলভাবে ভাবাচ্ছে দিল্লির ১০ জনপথকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজস্থানে এবার নির্দল এবং মায়াবতীর সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কংগ্রেসের। কিন্তু সরকার গড়লেও, মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার রয়েছেন কংগ্রেসেরই দুই হেভিওয়েট নেতা। একজন রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলট, অপরজন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জানা গেছে, ২০১৩ সালে রাজস্থানে কংগ্রেসের ভরাডুবি হওয়ার পর, ওই রাজ্যে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন শচীন পাইলট। ফলে, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী না করলে দলের অনেকেরই গোঁসা হতে পারে। অপরপক্ষে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলাটও প্রবল জনপ্রিয় সেরাজ্যে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অন্যান্য জোট সঙ্গীরাও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অশোক গেহলটকেই চাইছেন। ফলে শচীন পাইলট নাকি অশোক গেহলট, কাকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করবেন তা নিয়ে প্রবল সমস্যায় রয়েছেন রাহুল গান্ধী।

এদিকে, রাজস্থানের মতো মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিয়েও কঠিন সমস্যার মুখে পড়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এবার মধ্যপ্রদেশে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমলনাথের নেতৃত্বেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছে কংগ্রেস। কমল নাথের পাশাপাশি, কংগ্রেসের তরুণ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারও ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে সেই রাজ্যে। ফলে, এই দুজনের মধ্যে কে হবেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়েও সেখানকার রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে প্রবীণ অন্যদিকে নবীন, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে এখন এই দুইয়ের দ্বন্দ্ব মেটাতে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি, কোন পথ অবলম্বন করেন এখন সেটাই দেখার। তবে, এই নবীন এবং প্রবীণের দ্বন্দ্ব সামলাতে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর যে খুব একটা সমস্যা হবে না, তা মানছেন কংগ্রেসের অনেক নেতাকর্মীরাই।শেষ পর্যন্ত এই তিন রাজ্যে কারা মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন, সেদিকেই তাকিয়ে সব মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!