এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > পায়ে সোনার গয়না পড়েন? কি মারাত্মক ক্ষতি করছেন জানেন? বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা শুনলে চমকে যাবেন!

পায়ে সোনার গয়না পড়েন? কি মারাত্মক ক্ষতি করছেন জানেন? বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা শুনলে চমকে যাবেন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হিন্দু ধর্ম এমন একটি ধর্ম যেখানে প্রতিটি শুভ কাজ বা কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান বা খাবারের স্টাইল – প্রত্যেকটির মধ্যেই রীতির পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই সমস্ত কাজ থেকে আমাদের শরীর কতটা লাভ করে। এছাড়াও এটি আমাদের মস্তিস্কে আরও বেশি করে প্রভাব ফেলে। হিন্দু ধর্মে একটি জিনিস আলাদা, যা কার্যত বিশ্বখ্যাত, তা হল কোনও মহিলার ষোল শৃঙ্গার।

এই ষোলটি শৃঙ্গার কপালের টিপ থেকে শুরু করে পায়ের পাতা পর্যন্ত বিভিন্ন অঙ্গের শোভা বর্ধনের মধ্যে লুকিয়ে আছে। এগুলো যেমন নারী শরীরকে আরও আকর্ষণীয়, আরও মোহময়ী করে তোলে, তেমনই এই ষোলো শৃঙ্গারের মধ্যেই লুকিয়ে আছে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার এক বিপুল রহস্য ভান্ডার। প্রতিটি শৃঙ্গারেরই নিজস্ব গুরুত্ব আছে। আর ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে, এদের গুরুত্ব অপরিসীম।

রূপার নূপুর কেন? আপনি কি কখনও খেয়াল করেছেন যে, আমরা সোনার তৈরি প্রতিটি গহনা, যেমন – কানের দুল, হাতের ব্রেসলেট বা নেকলেস তৈরি করি। তবে আমরা কখনও সোনার নূপুর তৈরি করি না। এটি সবসময় রূপার তৈরী হয়। এর পেছনে বৈজ্ঞানিক ও ধর্মীয় উভয় কারণই রয়েছে। কিছু লোক এটিকে কুসংস্কার বলে অভিহিত করেন। তবে আজ আমরা প্রতিটি যুক্তি দিয়ে আপনাকে উত্তর দেব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ধর্মীয় কারণে – ধর্মীয় কারণ হিসাবে, স্বর্ণকে লক্ষ্মীর রূপ বলে মনে করা হয়। যার কারণে ভগবান বিষ্ণু সোনাকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। এই কারণে, এটি পায়ের নীচের অংশে পরা হয় না। এতে মা লক্ষ্মীর অপমান হয় এবং ভগবান বিষ্ণু রাগান্বিত হন। এটিও বলা হয় যে পা দিয়ে সোনার প্রয়োগ করা অশুভ।

বৈজ্ঞানিক কারণ – এখন আপনি বৈজ্ঞানিক কারণটি দেখে দিন। বিশ্বাস করা হয় যে সোনার তৈরি সোনার অলংকারগুলি গরম এবং রূপা শীতল। যা শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। এদিকে, আয়ুর্বেদ অনুসারে, এটি বিশ্বাস করা হয় যে মানুষের মাথা শীতল এবং পা উষ্ণ থাকতে হবে। এই কারণেই কেবল সোনার গহনা মাথায় এবং পায়ে রৌপ্য পরা উচিত। এরফলে মাথায় উৎপাদিত শক্তি পায়ে যাবে এবং রৌপ্য শীতলতা উৎপন্ন করে মাথায় পাঠাবে। এটি মাথা ঠান্ডা এবং পা উষ্ণ রাখে এবং আমাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

স্বাস্থ্য সুবিধা – রৌপ্যের নূপুর পায়ে পরার স্বাস্থ্যের উপকারও রয়েছে। রূপার তৈরী নূপুর পড়লে তা পিঠ, গোড়ালি, হাঁটুর ব্যথা এবং হিস্টিরিয়া রোগ থেকে মুক্তি দেয়। মাথা এবং পা উভয় ক্ষেত্রেই সোনার অলঙ্কার পরিধান করা মস্তিষ্ক এবং পা উভয়কে একই উষ্ণ শক্তি প্রবাহিত করবে যা মানুষের জন্য বহু রোগ ডেকে আনতে পারে।

নূপুর রূপালি হওয়া উচিত কারণ, এটি সর্বদা পা দিয়ে ঘষে, যা মহিলাদের হাড়ের জন্য খুব উপকারী। এটি তাদের পায়ের হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে। অতএব, আপনার পায়ে সর্বদা রৌপ্য অ্যাঙ্কলেট বা নূপুর পরা উচিত। অর্থাৎ, রৌপ্য নূপুর প্রতিটি উপায়ে আমাদের জন্য উপকারী। ধর্মীয় কারণের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও সেই একই কথা বলে। তাই ভুলেও পায়ে কোনো দিন সোনার নূপুর পড়ার কথা ভাববেন না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!