এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অনুব্রত-গড়ে পদ হারালেন শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা, শুরু তীব্র জল্পনা

অনুব্রত-গড়ে পদ হারালেন শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা, শুরু তীব্র জল্পনা

লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত জায়গায় দলের ফলাফল খারাপ হয়েছে, সেই সমস্ত জায়গায় দলীয় নেতৃত্বের পরিবর্তন এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার দলনেত্রীর দেখানো পথেই বীরভূমে তৃণমূলের অন্দরে শেষ কথা বলা অনুব্রত মণ্ডল বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন।

সূত্রের খবর, গত সোমবার সন্ধ্যায় বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই বৈঠকেই দলকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি। পাশাপাশি দলীয় সংগঠনের ক্ষেত্রে পরিবর্তনও আনতে দেখা যায় তাঁকে। যেখানে সিউড়ি শহর তৃণমূলের সভাপতি পদে থাকা অভিজিৎ মজুমদারকে সরিয়ে নতুন দায়িত্বে নিয়ে আসা হয় অভয় ভট্টাচার্যকে। আর দলের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরেই এবার তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে।এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “অভয়বাবু দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। তাই পুরসভা ভোটের কথা ভেবে অভয়বাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় বেশ কিছুদিন ধরেই সিউড়ি শহর তৃণমূলের সভাপতি পদে বদল আসতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করেছিল। আর গত বারের জেলা কমিটির বৈঠকে শহর সভাপতির পদ থেকে অভিজিৎবাবুকে সরানোর জন্য দলের একাংশ আবেদন জানালেও তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

কিন্তু এদিন জেলা কমিটির বৈঠকে শহর তৃনমূলের সভাপতি পদ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অন্যদিকে সিউড়ি পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরেও বর্তমানে চাপানউতোর চলছে। সেক্ষেত্রে পুর ভোটের আগে দলকে স্বচ্ছ রাখতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব তাতে ধামাচাপা দিতে শুরু করেছে। তবে নতুন শহর সভাপতি নির্বাচনের ঘটনায় দলের মধ্যে ফের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে নবনিযুক্ত সিউড়ি শহর তৃণমূলের সভাপতি অভয় ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে রয়েছি। ছাত্র, যুব সভাপতি ছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে দল করি। জেলা সভাপতি যেমন নির্দেশ দেবেন তা পালন করব।” এদিকে এদিন পুজোয় জনসংযোগ বাড়াতে তৃণমূলের তরফে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, “দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রত্যেক শহর ও ব্লকে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে স্বাগতম গেট তৈরি করা হবে। পুজোয় দলের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণের জন্যও বলা হয়েছে।”

তবে তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত কি বিজেপিকে রোখার জন্যই! এদিন এই ব্যাপারে জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, “বীরভূমে বিজেপি গত কয়েকদিন ধরে একাধিক কর্মসূচি করেছে। তাই বিজেপির পাল্টা কর্মসূচি করতেও তৃণমূল ময়দানে নামতে চলেছে। তবে সামনে শারদোৎসব থাকায় তৃণমূল এই সময় মানুষকে সেভাবে বিরক্ত করতে চাইছে না। পুজো মিটলেই লাগাতার প্রচার কর্মসূচিতে নামা হবে। সেইসব সভাগুলিতে অনুব্রত মণ্ডলই প্রধান বক্তা হবেন। তাঁর নেতৃত্বে জেলায় বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে একাধিক স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হবে।”

সব মিলিয়ে লোকসভায় অনুব্রত মন্ডলের নেতৃত্বে বীরভূম জেলায় তৃণমূল দুটি আসন রাখলেও ভবিষ্যতে কি হবে, সেই ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করে এখন থেকেই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে এখানে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ঘাসফুল শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!