এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > চা-বলয়ের শ্রমিক উন্নয়ন কার হাত ধরে? মোদী না মমতা? তীব্র তরজা শুরু বিজেপি-তৃণমূল শিবিরে!

চা-বলয়ের শ্রমিক উন্নয়ন কার হাত ধরে? মোদী না মমতা? তীব্র তরজা শুরু বিজেপি-তৃণমূল শিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত রবিবার থেকে সংসদে কৃষি বিল নিয়ে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত হট্টগোল। ইতিমধ্যেই কৃষি বিল সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তৃণমূলসহ অন্যান্য বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে সংসদ চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে মঙ্গলবার লোকসভায় আলোচনা হল তিন শ্রমবিধি সংক্রান্ত আর একটি আইন। সেখানেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুললেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। এদিন লোকসভায় রাজু বিস্তা দাবি করেন, শ্রমবিধি আইন পাশ করলে সব থেকে বেশি উপকৃত হবে দার্জিলিং, তরাইয়ের 400 চা বাগানের শ্রমিকরা।

এদিন রাজু বিস্তা আরও বলেন, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের কলকারখানায় দৈনিক মজুরি সাড়ে তিনশ টাকার ওপরে, সেখানে চা বাগান শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি মাত্র 176 টাকা। নতুন আইনে চা বাগান শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন তিনি। রাজ্যের আরেক সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও চা বাগানগুলি নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, চা বাগান এবং সেখানকার শ্রমিকদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তার মধ্যেই রাজ্য সরকার কুড়ি শতাংশ জমি আবাসন নির্মাণে দেওয়ার কথা বলেছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে এদিন মুখ খুলেছেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, 2014 সালে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে এসে একাধিক বাগান অধিগ্রহণের কথা বলেছিলেন। সে অধিগ্রহণ আজও সম্পূর্ণ হয়নি। এরপরে গৌতম দেব রাজ্য সরকারের একাধিক কর্মসূচি উল্লেখ করেন, যেগুলি চা বাগান ও সেখানকার শ্রমিক গোষ্ঠীর জন্য নেওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, পরামর্শদাতা কমিটি সহ 100 কোটির তহবিল, মজুরি বৃদ্ধি, সর্বোচ্চ বোনাস চুক্তি যেমন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে, ঠিক সেভাবেই একের পর এক বাগান খুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার।

তবে চা বাগান শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে এদিন মন্তব্য করেছেন রাজ্যের আরেক বিজেপি সাংসদ পল্লব লোচন দাস। তাঁর মতে, স্বাধীনতার এত বছর পরেও চা-বাগান শ্রমিকদের দুর্দশা কিন্তু মেটেনি। চা-বাগান শ্রমিকদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিশেষ কিছু সুবিধা মেলেনা তা কেন্দ্রেরই হোক বা রাজ্যেরই হোক বলে তিনি জানান। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের চা-বাগান গুলির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। সেখানকার শ্রমিকদের অবস্থাও তথৈবচ। শুধু এ রাজ্যেই নয়, দেশের অন্যতম বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামের চা বাগানগুলির অবস্থাও একই রকম। তবে চা বাগান নিয়ে রাজ্যের দুই দল বিজেপি এবং তৃণমূলের তরজা যে বেড়ে উঠছে ক্রমশঃ, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!