এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিলীপের জন্যই বিজেপির এই পরিণতি, বিজেপি নেতার মন্তব্যে বড় হাতিয়ার তৃণমূলের, চাপে গেরুয়া শিবির!

দিলীপের জন্যই বিজেপির এই পরিণতি, বিজেপি নেতার মন্তব্যে বড় হাতিয়ার তৃণমূলের, চাপে গেরুয়া শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  200 আসনের টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ভারতীয় জনতা পার্টি আশা করেছিল, সংশ্লিষ্ট আসন না পেলেও তারা ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হবে। কিন্তু 200 আসন দখল করা বা তার আশেপাশে যাওয়া তো দূরের কথা, দুই অঙ্কের সংখ্যা পার হতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। 77 টি আসন দখল করে রাজ্যে বিরোধীদলের জায়গা দখল করেছে তারা। আর এরপর থেকেই কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সহ একাধিক উচ্চপদস্থ নেতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে দলের একাংশ।

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, বাংলা ও বাঙালি সংস্কৃতি পরায়ন। কিন্তু সেদিক থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেভাবে নির্বাচনী ময়দানে একের পর এক হুঁশিয়ারি এবং হুমকির মত করে মন্তব্য রেখেছেন, তা খুব একটা ভালো চোখে নেননি বাংলার মানুষ। আর এর প্রভাব পড়েছে ভোটবাক্সে। এদিকে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির উপর হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। যার জেরে প্রতিবাদে নেমেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে বিজেপির উপর এই হামলার জন্য দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেই দায়ী করছেন একাংশ। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির।

বলা বাহুল্য, হুগলিতে দলীয় বৈঠক করতে গিয়ে নেতা-কর্মীদের অভিযোগের মুখে পড়ে রীতিমত মেজাজ হারান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে বিজেপি করতে না পারলে তারা সকলে যেন তৃণমূলে যোগ দেন, এই বার্তা দিতে দেখা যায় তাকে। আর এরপরই হুগলির তারকেশ্বরের দত্তপুকুর এলাকায় তৃণমূল এবং বিজিপির মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি হয়। সেখানে এক বিজেপি কর্মী এবং তার বাবা-মাকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

স্বাভাবিক ভাবেই এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কিছুদিন আগেই দিলীপ ঘোষ দলের একাংশের কর্মীর কথা না শুনে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। আর তার সেই মন্তব্য নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এলাকায়। দিলীপবাবু এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার সাথে সাথেই তাই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। এর দায় অবশ্যই রাজ্য নেতৃত্বকে নিতে হবে।

স্বাভাবিক ভাবেই বিভিন্ন সময় দিলীপ ঘোষের বক্তব্য নিয়ে এমনিতেই বিতর্ক তৈরি হয়। আর এবার দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ যেভাবে রাজনৈতিক সংঘর্ষে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন, তাতে বিজেপি যথেষ্ট বেকায়দায় পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি এই ঘটনায় তৃণমূল যে বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গেল, তা বলাই যায়।

একাংশ বলছেন, দিলীপ ঘোষ এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সেনাপতি ছিলেন। প্রচার থেকে শুরু করে প্রার্থী কারা হবে, সেই সমস্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু যে টার্গেট বেঁধে দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি, সেই টার্গেট পূরণ হয়নি। আর এরপর থেকেই দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে জেলায় জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপি যখন তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে, তখন বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেতারা।

যেখানে দিলীপ ঘোষের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্যই যে সংঘর্ষ তৈরি হয়েছে, সেই ব্যাপারে গেরুয়া শিবিরের অনেকে অভিযোগ করতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির একাংশের এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে এখন তৃণমূল যে দিলীপ ঘোষ এবং ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে বড় অস্ত্র প্রয়োগ করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!