এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে একের পর এক ‘অপশব্দের’ প্রয়োগ হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের! তীব্র জল্পনা

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে একের পর এক ‘অপশব্দের’ প্রয়োগ হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের! তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব যে ক্রমশ বেড়ে চলেছে সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। তবে এরই মধ্যে তৃণমূলের হুগলির নেতা তথা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে যেসব কথা বলেছেন, তা নিয়ে সে অন্তর্দ্বন্দ্ব যে আরও বেড়ে গেছে সে কথাই মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। এমন পরিস্থিতিতে একজন সংসদের মুখে যে কথা শোনা গেছে তা শালীনতার দিক থেকে কতটা উচ্চমানের, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বস্তুত এর আগে সিপিএমের প্রয়াত নেতা অনিল বসুও রাজনীতিতে কুকথার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন এবং বর্তমানে তৃণমূলের এই সাংসদও সেই পথেই হাঁটছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকেই কুকথা বলেছেন বলে অভিযোগ এসেছে। সেখানে কখনো প্রধানমন্ত্রীকে ‘ইঁদুরের বাচ্চা’ তো কখনও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ‘কালনাগিনী’ বলে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তা ছাড়া দলের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ব্যবহার নিয়েও বহু বার প্রশ্ন উঠেছে। যদিও তাঁর সম্পর্কে এই সব অভিযোগ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একবার বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ওর মুখের জোর নিয়ে অনেকে কথা বলেন। আসলে উকিলদের মুখের জোর থাকতে হয়। নইলে কোর্টে শোনা যায় না।’ তবে সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে করা তাঁর মন্তব্য নিয়েই এখন তৃণমূলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

তবে কি বলেছিলেন তিনি? জানা গেছে, নাম না করে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস।’ একজন মন্ত্রীকে জনসমক্ষে কি বলতে হয় সেটা তাঁর জানা উচিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাই তাঁর এহেন কথায় শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তৃণমূলে সেটা আরো বেড়ে গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আর সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামতে দেখা গেছে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বা প্রশান্ত কিশোরকে। বোঝানোর জন্য রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বা প্রশান্ত কিশোরকে। কিন্তু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনের কথা বলেছেন, তাতে তিক্ততা উল্টে বেড়ে গেছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, শুভেন্দুকে বুঝিয়ে দলে রাখার চেষ্টায় তাঁকে রাজ্য সভাপতি করে দেওয়া হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে সত্যিই যদি তা হয়, তখন হুগলিতে কাকে আলু বেচতে হবে সেটা খুব কষ্ট কল্পনা নয় বলেই মনে করছেন অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!